বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ছবি প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারাই সাকিব আল হাসানকে আমার কাছে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি দেশ সেরা ক্রিকেটার। বিশ্বখ্যাত অলরাউন্ডার। সাকিব আমার কাছে এসে রাজনীতিতে যোগদানের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। তাকে বিএনএমের দুজন নেতা আমার কাছে নিয়ে আসেন। আমি বলেছি- রাজনীতি করা তোমার বিষয়। তুমি এখনো খেলাধুলা করছো, রাজনীতি করবে কিনা চিন্তাভাবনা করে দেখ। আমার কাছ থেকে উৎসাহ না পেয়ে সে চলে যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে বনানী নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ এ সব কথা বলেন।
দ্বাদশ নির্বাচনের আগমুহূর্তের সেই প্রসঙ্গ টেনে মেজর হাফিজ বলেন, এ ঘটনা নির্বাচনের চার-পাঁচ মাস আগে হবে। যা হোক, যখন ক্ষমতাসীনদের চাপ বাড়তে লাগলো, এমনকি তৎকালিন তথ্যমন্ত্রী (হাছান মাহমুদ) ঘোষণাই দিয়ে দিলেন হাফিজ সাহেব শিগগিরই নতুন দল গঠন করবেন এবং নির্বাচনে যাবেন। তার পরের দিনই নির্বাচনের দুই মাস আগে আমি একটা সংবাদ সম্মেলন করি। সেখানে সবকিছুই বলেছি।
বিএনপির অন্যতম এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘সাকিব আল হাসান ও আমার একটি ছবি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এটি নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে কয়েকটি সংবাদপত্র নানা ধরনের সংবাদ প্রকাশ করছে। আমি সামান্য ব্যক্তি। তারপরও ৩৭ বছর ধরে রাজনীতি করছি। দুবার মন্ত্রী ও ৬ বার এমপি ছিলাম। ওইসব সংবাদে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা লক্ষ্য করছি। দলের নেতাকর্মীরাও এতে বিচলিত হন। জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে এসব করা হয়েছে। আমি এমন কিছু করিনি যার জন্য লজ্জিত হতে হবে।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ নির্বাচনের আগে কিংস পার্টিতে যোগ দিতে মেজর হাফিজের বাসায় গিয়েছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। সেখানে বিএনএমে যোগ দেওয়ার ফরম পূরণ করে মেজর হাফিজের হাতে জমা দেন তিনি। সেই ছবি ও সংবাদ সম্প্রতি রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে স্পষ্ট করতে আজ সংবাদ সম্মেলন ডাকেন মেজর হাফিজ।