ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজউক কর্মচারী কামরুলের দু’দপ্তরে হাজিরা সহ অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ । তারেক রহমানের বার্তা নিয়ে শেরপুরে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নয়ন প্রেসক্লাব মিঠাপুকুরের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুর রহমান সাহেব মিয়ার শোক স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠিত এবার রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের ৭ দাবি কুমিল্লায় ১৬-তম মিডিয়া ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ৬দলের জার্সি উন্মোচন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলার আহবায়ক কমিটি ঘোষণা ভারত-বিরোধিতার অভিযোগ নিয়ে আনন্দবাজারকে যা বললেন জামায়াত আমির ছাত্রদল নেতাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ গ্রেফতার পটুয়াখালীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের শুভ উদ্বোধন পশ্চিমা আদর্শ-সংস্কৃতির বিষয়ে যে সতর্কবার্তা দিলেন বায়তুল মোকাররমের খতিব

তামিমের হাত ধরে শিরোপা ঘরে তুলল বরিশাল

২০২২ সালে ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে এক রানে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করেছিল ফরচুন বরিশাল। ২০২৪ এসে সেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে প্রথম বারের মত তামিমের হাত ধরে শিরোপা ঘরে তুলল বরিশাল।

কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন বরিশাল। দলের মতো অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন তামিম ইকবালও।

শুক্রবার (১ মার্চ) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ফাইনালে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন অঙ্কন।

জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।

১৫৫ রানের লক্ষ্য ব্যাটে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবালেএবং মেহেদি হাসান মিরাজ। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮ ওভারে ৭৬ রান যোগ করে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেন তারা। ২৬ বলে ৩৯ রান করে তামিম ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। তামিমের পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মিরাজ। এই মেইকশিফট ওপেনার মঈন আলিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে জনসন চার্লসের হাতে ধরা পড়েন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৬ বলে ২৯ রান।

এরপর মুশফিকুর রহিম ও কাইল মেয়ার্স তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওঠে ৫৯ রান। এখানেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ফরচুনরা। মেয়ার্স ৩০ বলে ৪৬ রান করে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর মুশফিকও কাটা পড়েছেন আনলাকি থার্টিনে।

জয় পেতে খুব একটা সমস্যা হয়নি বরিশালের। বাকি কাজটা সহজেই সেরেছেন মাহমুদউল্লাহ ও ডেভিড মিলার। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৭ রান করে। আর মিলারকে ৮ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে ব্যাটে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। পঞ্চম বলে কাইল মেয়ার্সকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফাইন লেগে ধরা পড়েন সুনিল নারিন। এই ক্যারিবিয়ান ওপেনার ৪ বলে ৫ রান করেন।

নারিন দ্রুত ফেরার পর তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন লিটন দাস। তবে হৃদয় উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ইনফর্ম এই ব্যাটার ১০ বলে ১৫ রান করে ফেরেন সাজঘরে।

হৃদয় ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটনও। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১২ বলে ১৬ রান। চারে নেমে জনসন চার্লস আশা দেখালেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৫ রানে থেমেছেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার।

এদিন সুবিধা করতে পারেননি মঈন আলিও। এই ইংলিশ ব্যাটার দলকে বিপদে ফেলে সাজঘরে ফিরেছেন ৬ বলে ৩ রান করে। ৭৯ রানে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে যখন ধুকছে কুমিল্লা তখন দলের হাল ধরেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও জাকের আলি অনিক।

অঙ্কনের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৩৮ রান। অঙ্কন ফেরার পর শেষদিকে ঝড় তোলেন আন্দ্রে রাসেল। এই ক্যারবিয়ান হার্ডহিটার ১৪ বলে করেছেন অপরাজিত ২৭ রান।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজউক কর্মচারী কামরুলের দু’দপ্তরে হাজিরা সহ অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ ।

তামিমের হাত ধরে শিরোপা ঘরে তুলল বরিশাল

আপডেট সময় ১২:০১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

২০২২ সালে ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে এক রানে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করেছিল ফরচুন বরিশাল। ২০২৪ এসে সেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে প্রথম বারের মত তামিমের হাত ধরে শিরোপা ঘরে তুলল বরিশাল।

কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন বরিশাল। দলের মতো অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন তামিম ইকবালও।

শুক্রবার (১ মার্চ) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ফাইনালে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন অঙ্কন।

জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।

১৫৫ রানের লক্ষ্য ব্যাটে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবালেএবং মেহেদি হাসান মিরাজ। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮ ওভারে ৭৬ রান যোগ করে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেন তারা। ২৬ বলে ৩৯ রান করে তামিম ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। তামিমের পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মিরাজ। এই মেইকশিফট ওপেনার মঈন আলিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে জনসন চার্লসের হাতে ধরা পড়েন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৬ বলে ২৯ রান।

এরপর মুশফিকুর রহিম ও কাইল মেয়ার্স তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওঠে ৫৯ রান। এখানেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ফরচুনরা। মেয়ার্স ৩০ বলে ৪৬ রান করে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর মুশফিকও কাটা পড়েছেন আনলাকি থার্টিনে।

জয় পেতে খুব একটা সমস্যা হয়নি বরিশালের। বাকি কাজটা সহজেই সেরেছেন মাহমুদউল্লাহ ও ডেভিড মিলার। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৭ রান করে। আর মিলারকে ৮ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে ব্যাটে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। পঞ্চম বলে কাইল মেয়ার্সকে ফ্লিক করতে গিয়ে ফাইন লেগে ধরা পড়েন সুনিল নারিন। এই ক্যারিবিয়ান ওপেনার ৪ বলে ৫ রান করেন।

নারিন দ্রুত ফেরার পর তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন লিটন দাস। তবে হৃদয় উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ইনফর্ম এই ব্যাটার ১০ বলে ১৫ রান করে ফেরেন সাজঘরে।

হৃদয় ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটনও। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১২ বলে ১৬ রান। চারে নেমে জনসন চার্লস আশা দেখালেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৫ রানে থেমেছেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার।

এদিন সুবিধা করতে পারেননি মঈন আলিও। এই ইংলিশ ব্যাটার দলকে বিপদে ফেলে সাজঘরে ফিরেছেন ৬ বলে ৩ রান করে। ৭৯ রানে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে যখন ধুকছে কুমিল্লা তখন দলের হাল ধরেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও জাকের আলি অনিক।

অঙ্কনের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৩৮ রান। অঙ্কন ফেরার পর শেষদিকে ঝড় তোলেন আন্দ্রে রাসেল। এই ক্যারবিয়ান হার্ডহিটার ১৪ বলে করেছেন অপরাজিত ২৭ রান।