ঢাকা ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ৫ লক্ষাধিক টাকার  আম গাছ কর্তন থানায় অভিযোগ রাজবাড়ীতে জমির দখল বুঝে পেতে সংবাদ সম্মেলন তজুমদ্দিনে র‍্যাবের অভিযানে শিশু বলাৎকার মামলার মূল হোতা আটক হিসাব রক্ষক আলাউদ্দিনের এক যুগের দুর্নীতি ঘোচাবে কে? গণপূর্তে সন্ত্রাসীদের দ্বারা সিন্ডিকেট গড়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী তামজিদ হোসেন কুমিল্লায় তায়কোয়ানদো প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা শিল্পঘাতক: আইইএফ দেশীয় সিগারেট শিল্প বৈষম্যের শিকার জুলাই বিপ্লবে নিহত মাহবুবের পরিবারের পাশে তারেক রহমান ‘নিত্যপণ্যে ভ্যাট বসিয়ে ফ্যাসিস্টের রাস্তায় হাঁটছে সরকার’

অসময়ে বাজার মাতাচ্ছে বারোমাসি কাটিমন আম

অসময়ে নওগাঁর সাপাহারে বাজার মাতাচ্ছে কাটিমন জাতের আম। একদিকে দামে সন্তষ্ট চাষীরা অপরদিকে অসময়ে সুমিষ্ট আম পেয়ে খুশি সাধারণ ক্রেতারা। বারোমাসি আমের মধ্যে কাটিমন ও বারি-১১ আম অন্যতম। কারণ এই জাতের আমগুলোর ফলন খুব বেশি।

এই আমের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এক সঙ্গে গাছের একদিকে গুটি ও মুকুল এবং অন্যদিকে আম ধরে। একেক টি থোকায় একাধিক আম ধরে। ক্ষেত্র বিশেষে এ জাতের আমের দেড় বছরের গাছে থোকায় ৪/৫ টি করেও আম দেখা যায়।এর একেক টির ওজন হয় ২৫০ থেকে ৫৫০ গ্রাম।

আমের চামড়া খুব পাতলা হলেও সেটিও অনেক মিষ্টি। ভেতর আঁশ নেই, খেতেও খুব সুস্বাদু এবং মিষ্টি। আম পরিপক্ব হয়ে হলুদ রং হলে খাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে। আমগুলো পরিপক্ব হতে সাধরণত দুই থেকে আড়াই মাস সময় লাগে। ভোক্তাদের সুবিধার্থে বারো মাসি এই জাতের আম এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে এই সাপাহার উপজেলায়। ২/৩ বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে সাপাহারে গড়ে উঠেছে কাটিমন জাতের আম বাগান।

আমের মূল মৌসুম পার হয়ে গেলেও গাছে আম যেন ছেয়ে গেছে। পরিপূর্ণ মৌসুমের মতো সেজেছে আম বাগান। অসময়ে পাওয়া যায় বলে এই আমের ব্যাপক চাহিদা ও দাম রয়েছে বাজারে। বারোমাসি এই জাতের আম বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ পাইকারী বিক্রয় হচ্ছে ১০-১২ হাজার টাকা।

আমচাষী তরুণ সাহা – ও মনা বলেন, তিনি গত ২ বছর আগে অন্যদের দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে বছরের প্রথম দিকে কাটিমন জাতের একটি বাগান করেন। স্থানীয় চারা বাজার থেকে চারা সংগ্রহ করেন । প্রাথমিক অবস্থায় কিছুটা সংশয়ে থাকলেও বর্তমানে গাছের পরিধি বিস্তার সহ আম বিক্রয় করে সেই সংশয় কেটে গেছে বলে জানান।

তিনি আরো জানান, “আমি গতকাল বাজারে প্রতিমণ কাটিমন আম বিক্রয় করেছি। আমের গুণগত মান অনুযায়ী প্রতিমণ আম বিক্রয় করেছি ১০/১২ হাজার টাকা।” পাইকারী আম ক্রেতা মুমিনুল হক বলেন, “কাটিমন জাতের আমের চাহিদা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক বেশি। তাই আমরা এই জাতের আম কিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারী করছি। এই আম অসময়ে পাওয়া যায় বলে ক্রেতাসাধারণের মাঝে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যার ফলে দাম বেশি হলেও আম কিনতে আগ্রহী ক্রেতা মহল।

” উপজেলা কৃষি অফিসার শাপলা খাতুন বলেন “এই জাতের গাছগুলোতে প্রায় প্রতি মাসেই মুকুলের দেখা মেলে। বাজারে মৌসুমের সময় যে সমস্ত জাতের আম পাওয়া যায়, সেগুলো স্বাদের দিক থেকে অনন্য। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ৫ লক্ষাধিক টাকার  আম গাছ কর্তন থানায় অভিযোগ

অসময়ে বাজার মাতাচ্ছে বারোমাসি কাটিমন আম

আপডেট সময় ০৮:৩৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২

অসময়ে নওগাঁর সাপাহারে বাজার মাতাচ্ছে কাটিমন জাতের আম। একদিকে দামে সন্তষ্ট চাষীরা অপরদিকে অসময়ে সুমিষ্ট আম পেয়ে খুশি সাধারণ ক্রেতারা। বারোমাসি আমের মধ্যে কাটিমন ও বারি-১১ আম অন্যতম। কারণ এই জাতের আমগুলোর ফলন খুব বেশি।

এই আমের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এক সঙ্গে গাছের একদিকে গুটি ও মুকুল এবং অন্যদিকে আম ধরে। একেক টি থোকায় একাধিক আম ধরে। ক্ষেত্র বিশেষে এ জাতের আমের দেড় বছরের গাছে থোকায় ৪/৫ টি করেও আম দেখা যায়।এর একেক টির ওজন হয় ২৫০ থেকে ৫৫০ গ্রাম।

আমের চামড়া খুব পাতলা হলেও সেটিও অনেক মিষ্টি। ভেতর আঁশ নেই, খেতেও খুব সুস্বাদু এবং মিষ্টি। আম পরিপক্ব হয়ে হলুদ রং হলে খাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে। আমগুলো পরিপক্ব হতে সাধরণত দুই থেকে আড়াই মাস সময় লাগে। ভোক্তাদের সুবিধার্থে বারো মাসি এই জাতের আম এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে এই সাপাহার উপজেলায়। ২/৩ বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে সাপাহারে গড়ে উঠেছে কাটিমন জাতের আম বাগান।

আমের মূল মৌসুম পার হয়ে গেলেও গাছে আম যেন ছেয়ে গেছে। পরিপূর্ণ মৌসুমের মতো সেজেছে আম বাগান। অসময়ে পাওয়া যায় বলে এই আমের ব্যাপক চাহিদা ও দাম রয়েছে বাজারে। বারোমাসি এই জাতের আম বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ পাইকারী বিক্রয় হচ্ছে ১০-১২ হাজার টাকা।

আমচাষী তরুণ সাহা – ও মনা বলেন, তিনি গত ২ বছর আগে অন্যদের দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে বছরের প্রথম দিকে কাটিমন জাতের একটি বাগান করেন। স্থানীয় চারা বাজার থেকে চারা সংগ্রহ করেন । প্রাথমিক অবস্থায় কিছুটা সংশয়ে থাকলেও বর্তমানে গাছের পরিধি বিস্তার সহ আম বিক্রয় করে সেই সংশয় কেটে গেছে বলে জানান।

তিনি আরো জানান, “আমি গতকাল বাজারে প্রতিমণ কাটিমন আম বিক্রয় করেছি। আমের গুণগত মান অনুযায়ী প্রতিমণ আম বিক্রয় করেছি ১০/১২ হাজার টাকা।” পাইকারী আম ক্রেতা মুমিনুল হক বলেন, “কাটিমন জাতের আমের চাহিদা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক বেশি। তাই আমরা এই জাতের আম কিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারী করছি। এই আম অসময়ে পাওয়া যায় বলে ক্রেতাসাধারণের মাঝে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যার ফলে দাম বেশি হলেও আম কিনতে আগ্রহী ক্রেতা মহল।

” উপজেলা কৃষি অফিসার শাপলা খাতুন বলেন “এই জাতের গাছগুলোতে প্রায় প্রতি মাসেই মুকুলের দেখা মেলে। বাজারে মৌসুমের সময় যে সমস্ত জাতের আম পাওয়া যায়, সেগুলো স্বাদের দিক থেকে অনন্য। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়