হিসাব এলোমেলো হয়েছে ব্যাটিংয়েই। যেখানে প্রথম ১০ ওভারে ৭০, সেখানে পরের ১০ ওভারে কি না ৫৭ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এমন ছন্নছাড়া ব্যাটিংই ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। তারপর আর কিছুই করা হয়নি। শুধু সঙ্গী হয়েছে ৫ উইকেটের হার। বাংলাদেশকে হারিয়ে সুযোগটা কাজে লাগিয়ে সেমি-ফাইনালে পা রাখল পাকিস্তান।
ম্যাচ শেষে রোববার (৬ নভেম্বর) অ্যাডিলেড ওভালের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে শুধু আক্ষেপই ঝরল নাজমুল হোসেন শান্তর কথায়। বাংলাদেশের হয়ে হাফসেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান মনে করেন— আরও কিছু রান পেলে ম্যাচের দৃশ্যপটটা ভিন্নও হতে পারতো।
নাজমুল হোসেন শান্ত এনিয়ে আক্ষেপ করলেন। বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় উইকেটটা আজকে ১৪০ বা ১৫০ রানের ওরকমই ছিল। আমরা বুঝছিলাম যে আমার শেষ করাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল…যেটা আমি করতে পারিনি। ওই জন্য একটু আফসোস লাগছে। কিন্তু তারপরেও আমি বলবো যে শেষের যে ব্যাটসম্যানরা ছিল, তারা আরেকটু যদি ভাল করতে পারতেন, তাহলে আরও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হতো।’ শান্ত মনে করেন, গোটা দলটাই ব্যাটিংয়ে ফ্লপ। আলাদা করে কারও কথা বলতে রাজি নন ফর্মে ফেরা এই ব্যাটসম্যান।
এই বাঁহাতি ওপেনার বলছিলেন, ‘না আমার মনে হয় লোয়ার মিডল অর্ডার বলে কোনো কথা নেই। পুরো দল হিসেবে ভালো খেলিনি, আর যে দুটি ম্যাচে জিতেছি সেগুলোতে আমরা পুরো দল হিসেবে ভালো খেলছি। লোয়ার মিডল অর্ডার বা মিডল অর্ডার বা ওপেনার মানে এটা সবারই দায়িত্ব যে ভাল করা। তাই আমরা দল হিসেবে হয়তো আজকের ম্যাচটা ভালো করতে পারিনি।’
জয়ের একটা সংকল্প নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেটি হয়নি। শতভাগ দিয়েও যখন সাফল্য মিলল না তখন তো হতাশা ছুঁতেই পারে নাজমুল হোসেন শান্তদের। বিশ্বকাপ মিশন শেষে বিমর্ষ শান্ত বলছিলেন, ‘দেখুন, সবাই জিততে চায়। টিম ম্যানেজমেন্ট এবং আমরা সবাই জিততে চেয়েছি। এই সুযোগটা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। সবাই শতভাগ চেষ্টা করেছে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে হয়নি। কিন্তু সবাই আমার মনে হয় মন থেকেই শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’
চেষ্টা করলেও বাস্তবতার ছোঁয়া মেলেনি। শেষের ব্যাটসম্যানরা কিছুই করতে পারেনি। তাই সাজানো মঞ্চে শুধুই হতাশা সঙ্গী হলো। সকালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের জয়ের পর সমীকরণটা সহজ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ব্যাটিংয়ের ভরাডুবিতে হলো না। সুপার টুয়েলভের দুটি জয় নিয়েই এবার দেশে ফেরার পালা সাকিব আল হাসানদের! তবে তৃপ্তি একটা আছেই, এবার প্রথম মূল পর্বে দুটি জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। অথচ একটা বড় দলকে হারাতে পারলে স্বপ্নের সেমির দরজাও খুলে যেতে পারত!
আমাদের মার্তৃভূমি ডেস্ক : 





















