দেশের মাটিতে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন ১৩৪ রানের রেকর্ড গড়ে নিউজিল্যান্ড। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন রনি তালুকদার। টিম সাউদির করা প্রথম ওভারে ছক্কা হাঁকান তিনি। কিন্তু ৭ বলে ১০ রান করে অ্যাডাম মিলনের শিকার হন ডানহাতি এই ওপেনার। দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দ্রুতগতিতে রান তুলছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু ১৪ বলে ১৯ রান তোলার পর জিমি নিশামের শিকার হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ৪২ রান তুলে জয়ের আশা জাগিয়ে তোলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা তবে দলীয় ৬৭ রানে বেন সিয়ার্সকে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে বোল্ড হন সৌম্য সরকার। ১৫ বলে ২২ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এর আগে নেপিয়ারে শেষ ওয়ানডেতে জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয়ের লক্ষ্য টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এ ম্যাচে দলের সহ-অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের পরিবর্তে মেহেদী হাসানকে খেলানো হয়। আর অভিষেক হয় তানজিম হাসান সাকিবের।
প্রথম ওভারে মেহেদী হাসানের শিকার হন ওপেনার টিম সেইফার্ট (০)। একটু নিচু হওয়া অফস্পিনে বোল্ড হন এই ওপেনার। ৮ বলের মধ্যে অপর ওপেনারকে ফিন অ্যালেনকে (১) সাজঘরে ফেরান শরীফুল ইসলাম। পরের বলে বাঁহাতি এই পেসার গ্লেন ফিলিপসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললে ১ রান তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড।
এর আগে টি-টোয়েন্টিতে এতো কম রানে তিন উইকেট হারানোর নজির নেই কিউইদের। স্বাগতিকদের সেই চাপ আরও বাড়ান মেহেদী হাসান। তুলে মারতে গিয়ে বোল্ড হন ড্যারিল মিচেল (১৪)। নিউজিল্যান্ডের দুর্দশা আরও বাড়ান রিশাদ হোসেন। এই লিগ স্পিনারের উপর চড়াও হতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন মার্ক চ্যাপম্যান (১৯)।
অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারকে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন জিমি নিশাম। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসে কিউই অধিনায়ককে সাজ ফিরেয়ে দুজনের ৪১ রানের জুটি ভাঙেন শরীফুল। ২৯ বলে ৪৮ রান করা নিশামকে থামান মুস্তাফিজুর রহমান।
টিম সাউদিকেও (৮) সাজঘরে ফেরান বাংলাদেশের কাটার মাস্টার। শেষ ওভারে ইশ সোদির উইকেট তুলে নিয়ে অভিষেক রাঙান সাকিব। বাংলাদেশের পক্ষে শরীফুল তিনটি এবং মুস্তাফিজ ও মেহেদী নেন দুটি করে উইকেট।