নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল প্রথম ওয়ানডে খেলে ২০০৭ সালে। সেই প্রথম ম্যাচে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এরপর পেরিয়ে গেছে আরও ১৬ বছর অসম্ভব সুন্দর এই দেশটিতে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলে ফেলেছে আরও ১৮টি। জয় অধরাই থেকে গেছে বাংলাদেশের। অবশেষে ১৯তম ওয়ানডেতে এসে বাংলাদেশ পেল তাদের কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা। নেপিয়ারের ঐতিহাসিক এই ম্যাচে বাংলাদেশের দাপুটে জয়ের সঙ্গে কিছু রেকর্ডেরও দেখা পাওয়া গেছে।
দেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়বার কোনো ইনিংসে অলআউট হলো নিউজিল্যান্ড। এর আগে ২০১৬ সালে নেলসনে ২৫১ রানে অলআউট হয়েও নিউজিল্যান্ড ম্যাচ জিতেছিল ৬৭ রানে। তবে এবার শেষ হাসিটা টাইগারদের মুখে ছিল।
নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন স্কোর এটি। আগের সর্বনিম্ন ছিল মিরপুরে ১৬২ সেটি আবার ২০১৩ সালে। ওয়ানডেতে এ নিয়ে কিউইরা নবমবারের মতো একশ রানের নিচে অলআউট হলো, দেশের মাটিতে যা চতুর্থবার ও ২০০৭ সালের পর প্রথমবারের মতো একশর নিচে অলআউট হলো তারা।
২০৯ বল বাকি রেখে আজ নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে যেটি তাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ বলের ব্যবধানে জয় এবং নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ বলের ব্যবধানে হার।
কিউইদের লজ্জায় ডোবানোর দিনে নিজেদের আরেকটি রেকর্ডে সংযোজন করেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে প্রতিপক্ষকে তৃতীয়বারের মতো ১০০-এর নিচে অলআউট করল বাংলাদেশ। আগের দুটি ঘটনা ছিল ২০০৯ (জিম্বাবুয়ে, চট্টগ্রাম) ও ২০১১ সালে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, চট্টগ্রাম)।
আজকের ম্যাচে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেটের সবকটাই নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। তানজিম সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার নিয়েছেন ৩টি করে, ১টি মোস্তাফিজুর রহমান। এর আগে মাত্র একবার এমনটা হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। একমাত্র ঘটনাটি ছিল এ বছরেরই মার্চে, সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
দেশের মাটিতে সম্পন্ন হওয়া টানা ১৭টি ওয়ানডে জেতার রেকর্ড নিয়ে নেপিয়ারে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড, তাদের সামনে ছিল অস্ট্রেলিয়ার ১৮টি টানা জয়ের রেকর্ড ছোঁয়ার হাতছানি। তবে ১৭ ম্যাচেই থামতে হলো তাদের। এর আগে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ড সর্বশেষ হেরেছিল ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি, ভারতের কাছে ওয়েলিংটনে।
১৪তম বাংলাদেশি বোলার ও তৃতীয় দ্রুততম হিসেবে ৫০ উইকেট নিলেন শরীফুল ইসলাম। তার লাগল ৩৩ ম্যাচ। ২৭ ম্যাচে ৫০ উইকেট নেওয়ার বাংলাদেশের রেকর্ডটি মোস্তাফিজুর রহমানের, যিনি ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন আবদুর রাজ্জাকের ৩২ ম্যাচের রেকর্ড।
মাত্র আট রানের জন্য এক পঞ্জিকাবর্ষে হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে পারলেন না বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ২০২৩ সালে ৯৯২ রান করেই থামলেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র শাহরিয়ার নাফীসের হাজার রানের রেকর্ড রয়েছে।