নওগাঁর সাপাহারে গৃহবধুর অর্থ সম্পদ লুটিয়ে নিয়ে বিতাড়িত করায় আদালতে মামলা। নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল ২ আদালতে দায়ের করা মামলার অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় উপজেলার রসুলপুর গ্রামের গুলুর পুত্র আসাদুজ্জামান ২৫ বছর বয়সে ৪০ বছরের বয়সকা মহিলা গোপালগঞ্জ জেলার স্বরুপজান ফকিরের কন্যা রাশিদার অর্থ সম্পদের প্রতি লোভনীয় হইয়া বিভিন্ন প্রকার লোভ দেখাইয়া এবং ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে ২০১৬ সালে ২৩ ডিসেম্বর ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করিয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
রাশেদুজ্জামান এর পরিবারের কেউই স্বাবলম্বী ছিল না ভ্যান গাড়ি চালিয়া জীবন-নির্ভর করত তিনি ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ। রাশিদাকে বিয়ের পরে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে শুরু করে চালাক চতুর আসাদুজ্জামান।
আর অপরদিকে রাশিদা প্রচুর অর্থ সম্পদের অধিকারী ছিলেন ঢাকায় বাসা বাড়ি রয়েছে তার। রাশিদার অর্থ পর্যায়ক্রমে লুটে নিতে থাকে স্বামী রাশেদুজ্জামান। বাগান, চাকরী, বাড়ি- গাড়ি সবই করে নিয়ে সর্বস্ব হারা করে ফেলেছে রাশিদা কে। বর্তমানে এসে রাশিদার উপর নির্যাতন শুরু করেছে পাষণ্ড স্বামী এমনকি তাকে বিতাড়িত করার জন্য গোপনে তালাক প্রদান করে রেখেছে।
তার অত্যাচার সহ্য করতে না পারায় নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ আদালতে মামলা করেন অসহায় রাশিদা বেগম। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন রসুলপুর পূর্বপাড়া গ্রামের সেকেন্দারের স্ত্রী সালেহা তার ভাই রেজাউল ও মা আছিয়া।
এ বিষয়ে আসাদুজ্জামানের মা আছিয়া বিবির সাথে সাক্ষাতে কথা হলে তিনি জানান আমার ছেলে খুব লোভী সে বয়স্ক মহিলাকে বিয়ে করায় আমরা বাড়িতে উঠাইনি সে তাকে নিয়ে সাপাহারে বসবাস করে এদিকে আমার অপর ছেলে রেজাউলকেও সে ঠকিয়েছে, বাগান করার নামে এক লক্ষ টাকা রেজাউলের নিকট হতে নিয়ে প্রতারণা করেছে আমার ছেলে আসাদুজ্জামান।
এ বিষয়ে আসাদুজ্জামানের সাথে সাক্ষাৎ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের জবাব দিবেন না বলে জানিয়েছেন,তিনি আরো জানান যেহেতু আদালতে মামলা আমি যা বলার আদালতে বলবো সাংবাদিক দের বলার কোন প্রশ্নই আসে না বলে এড়িয়ে যান।