ঢাকা ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
 হিন্দুদের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পেলো বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি ” রকেট ” মার্কা নন্দীগ্রামে শান্তিপূর্ণভাবে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, কেন্দ্র পরিদর্শনে ইউএনও কালিয়াকৈরে বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক বগুড়া গাবতলীতে স্বাধীন ফিলিস্তিনের সমর্থনে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত ডিআইইউতে আসছে উৎসবের ঝলক ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে পটুয়াখালীতে মুসুল্লিদের বিক্ষোভ মিছিল কক্সবাজারের ফটোগ্রাফার ছুরির আঘাতে আহত  সাতক্ষীরায় ফিলিস্তিনে ইজরায়েলের আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে শিবিরের বিক্ষোভ নওগাঁয় পরকিয়ার বলি সন্ধ্যা’কে ফিরে পেতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন মনোহরগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফি’র অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সিভিল সার্জন ও এসডি

কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফি বাবদ ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীতে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আলমগীর কবীর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে গোপালগঞ্জের নতুন সিভিল সার্জন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. জিল্লুর রহমান।

প্রজ্ঞাপনে সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীতে ওএসডির আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া তাকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অন্যথায় ষষ্ঠ কর্মদিবসে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তিনি তাৎক্ষণিক অব্যাহতি বা স্ট্যান্ড রিলিজ বলে গণ্য হবেন।

এর আগে চলতি বছরের ২৭ জুলাই দুপুরে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ এবং খুলনার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করোনা পরীক্ষার ফির ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট খুলনা জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে পাঠানো হতো। তবে ল্যাবে যে পরিমাণ নমুনা পাঠানো হতো তার থেকে রোগীর সংখ্যা কম দেখিয়ে পরীক্ষার ফির টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ফি আদায় করা হয়েছিল ৪ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকা। তবে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছিল ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা। বাকি ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর মামলা করেন। ওই মামলার তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২৭ জুলাই তিনি গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ও খুলনার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

আসামিরা হলেন- ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাস, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মো. রওশন আলী, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা তপতী সরকার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন, তৎকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করা খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ও সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, পরস্পর যোগসাজশে সরকারি রসিদ বইয়ের বাইরে ডুপ্লিকেট রসিদ বই ব্যবহার করে তারা ওই টাকা আত্মসাৎ করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

 হিন্দুদের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পেলো বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি ” রকেট ” মার্কা

কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফি’র অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সিভিল সার্জন ও এসডি

আপডেট সময় ০১:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফি বাবদ ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীতে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আলমগীর কবীর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে গোপালগঞ্জের নতুন সিভিল সার্জন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. জিল্লুর রহমান।

প্রজ্ঞাপনে সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীতে ওএসডির আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া তাকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অন্যথায় ষষ্ঠ কর্মদিবসে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তিনি তাৎক্ষণিক অব্যাহতি বা স্ট্যান্ড রিলিজ বলে গণ্য হবেন।

এর আগে চলতি বছরের ২৭ জুলাই দুপুরে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ এবং খুলনার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করোনা পরীক্ষার ফির ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট খুলনা জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে পাঠানো হতো। তবে ল্যাবে যে পরিমাণ নমুনা পাঠানো হতো তার থেকে রোগীর সংখ্যা কম দেখিয়ে পরীক্ষার ফির টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ফি আদায় করা হয়েছিল ৪ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকা। তবে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছিল ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা। বাকি ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর মামলা করেন। ওই মামলার তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২৭ জুলাই তিনি গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ও খুলনার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

আসামিরা হলেন- ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাস, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মো. রওশন আলী, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা তপতী সরকার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন, তৎকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করা খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ও সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, পরস্পর যোগসাজশে সরকারি রসিদ বইয়ের বাইরে ডুপ্লিকেট রসিদ বই ব্যবহার করে তারা ওই টাকা আত্মসাৎ করেন।