গ্রামে শহরের সব সুবিধা নিশ্চিত হলে শহরমুখী মানুষের চাপ কমবে বলে মনে করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার হলো, আমার গ্রাম আমার শহর। এর অধীনে সড়ক যোগাযোগ, ইন্টারনেট-টেলিযোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সুপেয় পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো সন্নিবেশিত হয়েছে৷ একটি উন্নত জীবন যাত্রার জন্য যে ব্যবস্থাপনা মানুষের প্রয়োজন তার সবই রয়েছে। গ্রামগুলোতে শহরের সুবিধা নিশ্চিত হলে শহরমুখী মানুষের চাপ কমবে৷
শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স-এ বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনঘনত্ব, বাসযোগ্যতা ও টেকসই উন্নয়ন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বসবাসরত সব শ্রেণির মানুষের জন্য ঢাকাকে বাসযোগ্য ও টেকসই করতে হবে। নাগরিক অধিকারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সকলকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণে রাজধানী দৃষ্টিনন্দন, নিরাপদ বাসযোগ্য ও টেকসই শহর হবে৷
তিনি বলেন, রাজধানীকে বাসযোগ্য করার জন্য ডিটেইল এরিয়া প্লান (ড্যাপ) প্রণয়ন করেছে সরকার৷ ড্যাপের বাস্তবায়ন রাজধানীকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করবে। এটি সম্মিলিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে৷ তাহলে ঢাকাকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে৷ কিন্তু এগুলো বললে কিছু মানুষ সহ্য করতে পারে না৷ ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের উন্নয়ন থেমে যায়৷ দেশ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃষি , শিল্প -কারখানাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়াও জিডিপির প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আর্থ-সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দেশ অনেক এগিয়েছে।