টুইটার কেনা উপলক্ষে বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা রাশিয়া’স সিকিউরিটি কাউন্সিলের উপ প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ।
শুক্রবার এক টুইটবার্তায় মেদভেদেভ বলেন, ‘ইলন মাস্ক টুইটারকে মতাদর্শিক স্বৈরতন্ত্র ও রাজনৈতিক পক্ষপাত থেকে মুক্ত করতে চান। আমি তার সৌভাগ্য কামনা করছি।’ কয়েক মাস ধরে নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম টুইটার কিনেছেন বলে ঘোষণা দেন বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা ও মহাকাশযানের যন্ত্রাংশ ও স্যাটেলাইট নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের স্বত্ত্বাধিকারী ইলন মাস্ক।
প্রতিষ্ঠানটি কেনার পর এক টুইটবার্তায় ইলন মাস্ক বলেন, তিনি টুইটারকে যে কোনো প্রকার রাজনৈতিক মত ও প্রভাবের বাইরে একটি নিরপেক্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলতে চান। তিনি চান, টুইটার হবে এমন একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেখানে সবার জন্য জায়গা থাকবে এবং সবাই তাদের মতামত ও চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, প্রকাশ করা মতামত বা বক্তব্য নিয়ে বক্তব্যকে ঘিরে যদি বিতর্ক হয়, তাহলেও তাকে স্বাগত জানাবে টুইটার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এমন কোনো তর্ক-বিতর্ককে সমর্থন জানানো হবে না- যা সংঘর্ষ উস্কে দিতে পারে।
শুক্রবারের শুভেচ্ছাবার্তায় মূলত মাস্কের সেই বক্তব্যের দিকেই ইঙ্গিত করলেন মেদভেদেভ।
মাস্ক অবশ্য এখনও মেদভেদেভের মেসেজের জবাব দেননি; তবে সম্প্রতি এই দু’জনের মধ্যে বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ টুইটবার্তার আদান-প্রদান ঘটেছে। গত সপ্তাহে ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে মেদভেদেভকে কটাক্ষ করেন মাস্ক। এক টুইটবার্তায় তিনি মেদভেদেভের কাছে জানতে চান, রাশিয়া’স সিকিউরিটি কাউন্সিলের উপপ্রধান বর্তমানে কে?
দিমিত্রি মেদভেদেভ অবশ্য সে প্রশ্নের উত্তর দেননি, তবে পাল্টা এক টুইটবার্তায় ইলন মাস্ককে আগামী বছর ৯ মে মস্কো আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে এই দিনে জার্মান বাহিনীকে পরাজিত করেছিল রুশ বাহিনী। তারপর থেকে প্রতি বছর ৯ মে দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে রাশিয়া।
চলতি অক্টোবরের প্রথম দিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেনের যে চার প্রদেশ রাশিয়া নিজেদের অন্তর্ভূক্ত করেছে— সেখানে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হোক। সেই ভোটে যদি মানুষ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়, তাহলে রুশ বাহিনী এসব অঞ্চল থেকে সরে যাবে।
মাস্কের এই প্রস্তাব রাশিয়া সমর্থন করলেও ইউক্রেন একেবারেই করেনি।