রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ১৬ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বৈরাতী হাটের অনুমোদনহীন বণিক সমিতির রক্তচোষা সুদ চক্রের কবলে পড়ে স্থানীয় হাটের অনেক সাধারণ ব্যবসায়ী উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৈরাতী হাটের ইজারাদার বরাত দিয়ে ও সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কোনরকম অনুমতি না নিয়ে উক্ত বণিক সমিতির ঋণ কার্যক্রম বহাল তবিয়তে চলছে।
হাট কমিটির একাধিক সূত্রে নিশ্চিত করেছেন উক্ত বণিক সমিতির নেই কোন ঋণ বিতরণের সনদ, ট্রেড লাইসেন্স সহ নেই কোন সমিতির সনদ শুধুমাত্র সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমাদের স্থানীয় এমপির ইমেজকে কাজে লাগিয়ে এই বণিক সমিতির কার্যক্রম চলমান আছে জানাজায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বণিক সমিতির সভাপতি আলমগীর হোসেন জানায়, আমাদের বণিক সমিতির আবেদন করা আছে সমিতির বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এরা জামাত শিবির গ্রুপ। তাই আমার বিরুদ্ধে এরকম মিথ্যা চার করছে।
এ বিষয়ে উক্ত বণিক সমিতির দায়িত্ব রত আশরাফ মিয়া ও মোয়াজ্জেম হোসেন কে একাধিকবার ফোন করেও কোন মতামত পাওয়া যায়নি।
সরজমিনে কি দেখা গেল ভিন্ন চিত্র উক্ত বণিক সমিতির প্রায় ২০ বছর থেকে কার্যক্রম চলমান আছে। একাধিক হাটের ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন উক্ত বণিক সমিতির ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চালু আছে এবং উচ্চতর মুনাফা তারা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তারা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে অথবা ব্যাংকের চেক নিয়ে টাকা প্রদান করেন পরবর্তীতে ব্যবসায়ী যদি টাকা দিতে না পারে ব্যাংকের চেক এবং স্ট্যাম্প দিয়ে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা করেন এই বিপাকে পড়ে বেশ কিছু হাটের দোকানদার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে ঢাকায় বা অন্য কোথাও গা ঢাকা দিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন স্কুল শিক্ষক বলেন, ঐতিহ্যবাহী বৈরাতীর হাট যে বাজারটি সরকারিভাবে ডাক হয়। সেই বাজারের মধ্যে ২০ বছর থেকে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম একটি সমিতি উচ্চ মুনাফা গ্রহণ করে আসছে তাহলে উপজেলা সমবায় অফিসার থাকার দরকার কি? এগুলো তো উপজেলা সমবায় অফিসার দেখার কথা আর এসব না দেখার কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।