তাইওয়ান, বাণিজ্যসহ নানা ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। আর বিভিন্ন সময়ই দুই দেশের হুঁশিয়ারি ও পাল্টা হুঁশিয়ারিতে সেই উত্তেজনার পারদ বেড়ে যায় আরও। বৈশ্বিক এই দুই পরাশক্তির মধ্যে দেখা দেয় যুদ্ধে আশঙ্কাও।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে সংঘাত চায় না এবং এই বিষয়টি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানেন। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার নিজের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টাদের সাথে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপর তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাথে সংঘাত চায় না এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এটি জানেন।
বাইডেন বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে শুরু করে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার বৈশ্বিক নেতৃত্ব অব্যাহত রাখবে।
চীনাদের সম্পর্কে বাইডেন বলেন, ‘আমরা তাদের সাথে বিরোধ চাই না। ’যদিও এর আগে চীন তাইওয়ানে হামলা চালালে মার্কিন বাহিনী ভূখণ্ডটিকে রক্ষা করবে বলে মন্তব্য করেছিলেন জো বাইডেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বাইডেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়- মার্কিন বাহিনী চীনের দাবিকৃত স্ব-শাসিত দ্বীপটিকে রক্ষা করবে কিনা। বাইডেন উত্তর দেন: ‘হ্যাঁ, যদি বাস্তবে সেখানে (তাইওয়ানে) অভূতপূর্ব কোনো আক্রমণ হয়, তাহলে (রক্ষা করবে)।’
বাইডেন ঠিক কি বোঝাতে চেয়েছেন সেটি আরও স্পষ্ট করতে মার্কিন বাহিনী চীনা আক্রমণের ক্ষেত্রে তাইওয়ানকে রক্ষা করবে কিনা তা জিজ্ঞাসা করা হলে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তর দেন: ‘হ্যাঁ।’
এর আগে গত মে মাসে জো বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তাইওয়ানকে রক্ষা করার জন্য তিনি সামরিকভাবে সংশ্লিষ্ট হতে ইচ্ছুক কিনা এবং উত্তর দিয়েছিলেন: ‘হ্যাঁ … এটাই আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমা দেশগুলোর দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। তাইওয়ান পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালীর পূর্বে চীনা মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। অবশ্য তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং।
গত বছরের অক্টোবরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছিলেন, মূল ভূখণ্ডের সাথে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণ অবশ্যই সম্পূর্ণ করতে হবে। এজন্য সামরিক পথে অগ্রসর হওয়ার বিষয়টিও খোলা রেখেছে বেইজিং।