লক্ষীপুরের রামগঞ্জে ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত সেই ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম লিমনের বিরুদ্ধে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ।
গতকাল উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল মাল তার ফেসবুক ওয়ালে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন তিনি। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইমরান হোসেন মানিক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইমন আহম্মদ, আহাম্মেদ মুরশেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল হোসেন সবুজ। আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে উপজেলা কমিটির দপ্তর সেলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
অভিযুক্ত লিমন উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের লাউতলি ডা. রশিদ আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক। সূত্র জানায়, ১১ অক্টোবর লাউতলি ডা. রশিদ আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ছাত্রলীগ নেতা লিমন উত্যক্ত করে। এতে বাধা দিলে ছাত্রীর ভাইকে ওই নেতা মারধর করে। ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ১৬ অক্টোবর উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ সময় শিক্ষক সাইফুলের সঙ্গে ওই ছাত্রলীগ নেতার কথা কাটাকাটি হয়।
পরে ওই রাতেই সহযোগীদের নিয়ে লিমন শিক্ষকের ওপর হামলা চালায়। তাদের মারধরে আহত অবস্থায় শিক্ষককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন লিমনের বিরুদ্ধে কলেজে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। তদন্ত কমিটি সদস্য রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল হোসেন সবুজ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে তদন্তে যাব।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। ঘটনার সত্যতা মিললে লিমনকে বহিস্কার করা হবে। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কামরুল হাসান ফয়সাল মাল বলেন, লিমনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।