ঢাকা ১১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
 হিন্দুদের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পেলো বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি ” রকেট ” মার্কা নন্দীগ্রামে শান্তিপূর্ণভাবে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, কেন্দ্র পরিদর্শনে ইউএনও কালিয়াকৈরে বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক বগুড়া গাবতলীতে স্বাধীন ফিলিস্তিনের সমর্থনে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত ডিআইইউতে আসছে উৎসবের ঝলক ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে পটুয়াখালীতে মুসুল্লিদের বিক্ষোভ মিছিল কক্সবাজারের ফটোগ্রাফার ছুরির আঘাতে আহত  সাতক্ষীরায় ফিলিস্তিনে ইজরায়েলের আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে শিবিরের বিক্ষোভ নওগাঁয় পরকিয়ার বলি সন্ধ্যা’কে ফিরে পেতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন মনোহরগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর ডাক ‘মা’

ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর অকৃত্রিম দরদ। শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনা- প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। তাইতো জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল মমতাময়ী মায়ের সম্মানে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার ‘বিশ্ব মা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

 

মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণের প্রয়োজন হয় না। মায়ের জন্য প্রতিদিনই সন্তানের ভালোবাসা থাকে। তবুও ভ্রুণ থেকে দশটি মাস গর্ভে ধারণ করে যে মা সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান, সেই মায়ের সম্মানে আলাদা করে একটু ভালোবাসা জানাতেই আজকের দিনটি।

 

মা ও সন্তানের আত্মিক বন্ধন নিয়ে রচিত হয়েছে বহু গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাস। সৃষ্টি হয়েছে বহু কালজয়ী শিল্পকর্ম। বাংলা সাহিত্যে মাকে নিয়ে লেখা বিখ্যাত কয়েকটি কবিতা রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মনে পড়া’, শামসুর রাহমানের ‘কখনো আমার মাকে’, হুমায়ুন আজাদের ‘আমাদের মা’, আল মাহমুদের ‘নোলক’, কালিদাসের ‘মাতৃভক্তি’ উল্লেখযোগ্য।

 

প্রাচীন গ্রিসে বিশ্ব মা দিবস পালন করা হলেও আধুনিককালে এর প্রবর্তন করেন এক মার্কিন নারী। ১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আনা জারভিস নামের নারী মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন। ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃদিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯০৭ সালের এক রবিবার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।

 

১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

 হিন্দুদের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পেলো বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি ” রকেট ” মার্কা

পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর ডাক ‘মা’

আপডেট সময় ০৬:১০:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর অকৃত্রিম দরদ। শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনা- প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। তাইতো জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল মমতাময়ী মায়ের সম্মানে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার ‘বিশ্ব মা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

 

মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণের প্রয়োজন হয় না। মায়ের জন্য প্রতিদিনই সন্তানের ভালোবাসা থাকে। তবুও ভ্রুণ থেকে দশটি মাস গর্ভে ধারণ করে যে মা সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান, সেই মায়ের সম্মানে আলাদা করে একটু ভালোবাসা জানাতেই আজকের দিনটি।

 

মা ও সন্তানের আত্মিক বন্ধন নিয়ে রচিত হয়েছে বহু গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাস। সৃষ্টি হয়েছে বহু কালজয়ী শিল্পকর্ম। বাংলা সাহিত্যে মাকে নিয়ে লেখা বিখ্যাত কয়েকটি কবিতা রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মনে পড়া’, শামসুর রাহমানের ‘কখনো আমার মাকে’, হুমায়ুন আজাদের ‘আমাদের মা’, আল মাহমুদের ‘নোলক’, কালিদাসের ‘মাতৃভক্তি’ উল্লেখযোগ্য।

 

প্রাচীন গ্রিসে বিশ্ব মা দিবস পালন করা হলেও আধুনিককালে এর প্রবর্তন করেন এক মার্কিন নারী। ১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আনা জারভিস নামের নারী মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন। ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃদিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯০৭ সালের এক রবিবার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।

 

১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে।