যশোর জেলার সদর উপজেলায় একটি তুচ্ছ ঘটনায় রিকশা চালককে প্রকাশ্যে শহরের ব্যস্ততম সড়কে জুতাপেটাকারী আইনজীবী আরতি রাণী ঘোষকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। একইসাথে তাকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তার জবাব দিতে ৭ দিনের সময় দেয়া হয়েছে।
রবিবার (৫ মে) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকারী পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে সভায় কার্যকারী পরিষদের ১৩ সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।
যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম মর্তুজা ছোট বলেন, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অভিযুক্ত আরতি রাণী ঘোষকে গত ৮ মে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশ পাবার দুইদিন পর ১১ মে আরতি রাণী ঘোষ জবাব দাখিল করেন। ওই জবাব নিয়ে রবিবার দুপুরে আইনজীবী সমিতির কার্যকারী পরিষদ বৈঠকে বসে। আরতি রাণীর জবাব বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের কাছে সন্তোষজনক মনে হয়নি। যে কারণে সর্বসম্মতিক্রমে সভায় উপস্থিত সকলের সিদ্ধান্তে আরতি রাণী ঘোষকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি তাকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তার জবাব দিতে ৭ দিনের সময় দেয়া হয়েছে। ওই জবাব পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত ৭ মে রবিবার দুপুরে আদালত থেকে বের হয়ে নিজ চেম্বারে যাচ্ছিলেন অ্যাডভোকেট আরতি রাণী ঘোষ। এসময় একটি রিকশার সাথে তার ধাক্কা লাগে। তিনি পড়ে গেলে রিকশাচালক নেমে তাকে উঠিয়ে দেন। এসময় ওই আইনজীবী তাকে জুতাপেটা ও চড় থাপ্পর মারতে শুরু করেন। পথচারীরা ওই আইনজীবীকে নিবৃত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। অবশ্য ওই আইনজীবীর দাবি তিনি সঠিক কাজটি করেছেন। যার ভিডিও পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। নির্যাতিত রিকশাচালকের নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের আব্দুলপুর সাজিয়ালি গ্রামের বাসিন্দা।