পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়ায় তুষখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শফীকুল ইসলামকে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার ও হত্যা পরিকল্পনাকারী পেশাদার ডাকাত ভাড়াটে কিলার ইয়াসিনকে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ঢাকার লালবাগ থানার ভেরীবাদ এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেন।
এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে মঠবাড়িয়া থানা হলরুমে পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার সাঈদুর রহমান স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, ইয়াসিন সহ বাকী আসামীদের দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পুলিশবাহিনী মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
আসামীরা বার বার স্থান পরিবর্তন ও মোবাইলের সিমকার্ড পরিবর্তনের কারণে তাদের গ্রেফতারে একটু বিলম্ব হচ্ছে। আশাবাদী এই নৃশংস হামলার সাথে যারা প্রকৃতপক্ষে জড়িত তাদের সকলকে অতি অল্প সময়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো। শফীকুলের সাথে মামলার ১নং আসামী নাসির হাওলাদারের সাথে টাকা পয়সা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ও মামলা চলছিল।
তারই জের ধরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইয়াছিনের সাথে ২ বছর ধরে পরিকল্পনা করে আসছিল। এ নিয়ে নাসির হাওলাদার ইয়াসিনকে বিভিন্ন কিস্তিতে আড়াই লাখ টাকা প্রদান করেন।
শফিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইয়াছিন ৫ সদস্যের একটি দল গঠন করে। হামলার আগেরদিন শফিকুলকে হত্যার পরিকল্পনা করতে মঠবাড়িয়ার একটি ঘরে তারা অবস্থান নেয় ও মঠবাড়িয়া বাজার থেকে ইয়াসিন তার সহযোগীদেও নিয়ে ৩টি ধারালো দাও ক্রয় করে। হামলা পরবর্তী ওই দা গুলো বহেরাতলা নামক স্থানে খাল থেকে ইয়াসিনের জবানবন্দী অনুযায়ী থানা পুলিশ উদ্ধার করেন।