জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযথ মর্যাদায় সাড়ম্বরে উদযাপনের লক্ষ্যে দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আগামী ১৭ মার্চ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৯টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন এবং পুস্পস্তবক অর্পণের সময়ে সশস্ত্র বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করবে।
এদিন সকালে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি/বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন।’
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠান সূচিতে রয়েছে শিশু প্রতিনিধির বক্তব্য, বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকার বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, কাব্যনৃত্যগীতি আলেখ্যানুষ্ঠান এবং বইমেলা।
এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার পুরস্কার প্রদান এবং অসচ্ছল মেধাবী শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান বিতরণ করবেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মারক উপহার দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল এবং সভাপতিত্ব করবেন একজন শিশু প্রতিনিধি।
বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা ও উপজেলায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ দিবস উপলক্ষ্যে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিজস্ব কর্মসূচি গ্রহণ করবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এদিবস উপলক্ষে পত্রিকায় ক্রোড়পত্র, পোস্টার এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমি স্যুভেনির প্রকাশ করা হবে।
জেলা ও উপজেলা সদরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রমাণ্য চলচ্চিত্র এবং জনবহুল স্থানে পোস্টার প্রদর্শন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হবে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, কমিউনিটি রেডিও এবং এফএম রেডিওতে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এছাড়া রয়েছে শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা, পুষ্টি ও খাদ্য সম্পর্কে বিশেষ আলোচনা। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হবে। দেশের সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।