বাংলা ক্যালেন্ডারের শেষ মাস চৈত্র। একইসঙ্গে বসন্ত ঋতুরও দ্বিতীয় মাস। তবে গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় দাবদাহ বয়ে যাওয়ায় প্রকৃতি থেকে ‘বসন্ত’ হাওয়া উড়ে যায়। গরমের অস্বস্তিতে পড়েন রাজধানীবাসীও।
এ অবস্থায় বুধবার (১৫ মার্চ) সকালে চৈত্র মাসের প্রথমদিনেই বৃষ্টির দেখা মিলেছে রাজধানীতে। তাতে গত কয়েকদিনের গরম থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন রাজধানীবাসী।
এদিন সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ ছিল মেঘলা। বইছিল ঠান্ডা হাওয়া। রাজধানীর কোনো কোনো এলাকায় সকালেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তবে সকাল ১০টা নাগাদ প্রকৃতি আঁধার করে ভেঙে পড়ে আকাশ। বৃষ্টির সঙ্গে রয়েছে বজ্রপাত।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কুমিল্লা, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত ৮ মার্চ সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছিলেন, আগামী ১৫ মার্চ থেকে ১৯ শে মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বজ্রপাত বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা (৭০ থেকে ৮০ শতাংশের বেশি) রয়েছে। যা এরইমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে।