রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘ভোক্তা অধিকার’ সর্বজনীন একটি অধিকার। সরকার ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য জনগণ, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রপতি দেশের আপামর জনসাধারণের অধিকার রক্ষায় বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আবদুল হামিদ বুধবার (১৫ মার্চ) ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকারের নেওয়া উদার বাণিজ্যনীতি ও বহুমুখী নীতি সহায়তা দেওয়ার ফলে দেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা খাতে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ এখন শিল্প উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও আমদানিকারকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য। সরকারের উন্নয়ন দর্শনের আওতায় ধারাবাহিক নীতি ও কৌশল যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে এরইমধ্যে ঈর্ষণীয় উন্নতি করেছে। ফলে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণে চূড়ান্ত সুপারিশ দিয়েছে।
তিনি জানান, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সূচকের ঊর্ধ্বগতি নিশ্চিত করতে নিরবচ্ছিন্ন, নিরাপদ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির যোগান একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। তাই জাতীয় সমৃদ্ধি, ভোক্তা অধিকার রক্ষা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।
রাষ্ট্রপতির প্রত্যাশা, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভেজাল ও মজুতদারি প্রতিরোধ, বাজার ব্যবস্থার সার্বিক তদারকির পাশাপাশি ভোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ জ্বালানির বিপণন ও বাজার ব্যবস্থাপনায়ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।