ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চিন্ময়ের গ্রেফতার ও সাইফুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে যত অপতথ্য ছড়িয়েছে বাংলাদেশকে ২২৬৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জার্মানি দুদকের মামলায় অব্যাহতি পেলেন জামায়াত সেক্রেটারি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক বীজ রাখার দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমান গুজবে কান দিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি না করার আহবান জাবিতে ছাত্রদলের দুগ্রুপে উত্তেজনা, বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার পরকীয়ার জেরে স্বামী খুন, স্ত্রী প্রেমিকসহ ৩ জনের ফাঁসি নিটওয়্যার উদ্ভাবন ও সহযোগিতায় সিজিং ‘বাংলাদেশ নাইট’ ১১১ নারীকে ধর্ষণ–যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত ধনকুবের ফায়েদ ইসকন ও আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবি বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের

শিক্ষার্থীদের নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হওয়ার পরামর্শ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিক্ষার্থীদেরকে নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বঙ্গভবনের কেবিনেট হলে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২২ এর কৃতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে উপদেশ দিয়ে বলেন, নিয়মিত পড়াশোনা করবে, নিজেদেরকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। নীতি ও আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হওয়া যাবে না।

রাজধানীর বিভিন্ন কলেজে পড়ুয়া ৪৫ জন কৃতি ছাত্রছাত্রীকে প্রথমবারের মতো এবার বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, তোমাদেরকে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে- যেটাই করো না কেন, ভালো করে করতে হবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ দেশকে ভালোবাসতে হবে। এদেশের শিল্প ও সংস্কৃতিকে ভালোবাসতে হবে। দেশের সত্যিকারের ইতিহাস জানতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি হামিদ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন। তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার পরিচয় ও সম্পর্কের বিষয়ে বিভিন্ন খুঁটিনাটি প্রশ্নের উত্তর দেন। আবদুল হামিদ দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ওপর ও যুদ্ধের রণকৌশলের ওপর বিভিন্ন রকম বই আছে, তোমরা সেগুলো পড়বে-তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবে।

দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামীদের ও বঙ্গবন্ধুর অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তারা কিন্তু আজ আর নেই, অথচ আমরা ফল ভোগ করছি। তাদেরকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে।

বঙ্গভবনে সুদীর্ঘ ১০ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে তার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য এক শিক্ষার্থীর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি বলেন, এটা আমার জন্য একটা জেলখানা, কেননা আমার কোনো কিছুই স্বাধীনভাবে বলার বা করার কোনো সুযোগ নেই।

কারিগরি শিক্ষাকে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষাকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে কারিগরি শিক্ষাকে আরো বেশি গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দেন তিনি।

বাংলাদেশের মহাকাশ কেন্দ্র স্থাপনের কোনো স্বপ্ন আছে কিনা, এমন প্রশ্ন উঠতেই রাষ্ট্রপতি বলেন, আমেরিকা স্বাধীন হয়েছে ৩০০ বছরের ওপরে, আর আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে মাত্র ক’বছর।

তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শূন্য থেকে শুরু করেছি, তোমাদের আরো বেশি স্বপ্ন দেখতে হবে। যেখানে রেখে গেলাম, সেখান থেকে তোমরা শুরু করবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।

মত বিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বডুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সালাহ উদ্দিন ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাহবুবুর রহমান ও নাজিবা জাকিয়া হোসেন রোদেলা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময়ের গ্রেফতার ও সাইফুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে যত অপতথ্য ছড়িয়েছে

শিক্ষার্থীদের নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হওয়ার পরামর্শ

আপডেট সময় ১১:০৩:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিক্ষার্থীদেরকে নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বঙ্গভবনের কেবিনেট হলে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২২ এর কৃতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে উপদেশ দিয়ে বলেন, নিয়মিত পড়াশোনা করবে, নিজেদেরকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। নীতি ও আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হওয়া যাবে না।

রাজধানীর বিভিন্ন কলেজে পড়ুয়া ৪৫ জন কৃতি ছাত্রছাত্রীকে প্রথমবারের মতো এবার বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, তোমাদেরকে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে- যেটাই করো না কেন, ভালো করে করতে হবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ দেশকে ভালোবাসতে হবে। এদেশের শিল্প ও সংস্কৃতিকে ভালোবাসতে হবে। দেশের সত্যিকারের ইতিহাস জানতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি হামিদ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন। তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার পরিচয় ও সম্পর্কের বিষয়ে বিভিন্ন খুঁটিনাটি প্রশ্নের উত্তর দেন। আবদুল হামিদ দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ওপর ও যুদ্ধের রণকৌশলের ওপর বিভিন্ন রকম বই আছে, তোমরা সেগুলো পড়বে-তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবে।

দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামীদের ও বঙ্গবন্ধুর অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তারা কিন্তু আজ আর নেই, অথচ আমরা ফল ভোগ করছি। তাদেরকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে।

বঙ্গভবনে সুদীর্ঘ ১০ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে তার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য এক শিক্ষার্থীর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি বলেন, এটা আমার জন্য একটা জেলখানা, কেননা আমার কোনো কিছুই স্বাধীনভাবে বলার বা করার কোনো সুযোগ নেই।

কারিগরি শিক্ষাকে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষাকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে কারিগরি শিক্ষাকে আরো বেশি গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দেন তিনি।

বাংলাদেশের মহাকাশ কেন্দ্র স্থাপনের কোনো স্বপ্ন আছে কিনা, এমন প্রশ্ন উঠতেই রাষ্ট্রপতি বলেন, আমেরিকা স্বাধীন হয়েছে ৩০০ বছরের ওপরে, আর আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে মাত্র ক’বছর।

তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শূন্য থেকে শুরু করেছি, তোমাদের আরো বেশি স্বপ্ন দেখতে হবে। যেখানে রেখে গেলাম, সেখান থেকে তোমরা শুরু করবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।

মত বিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বডুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সালাহ উদ্দিন ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাহবুবুর রহমান ও নাজিবা জাকিয়া হোসেন রোদেলা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।