বৈরী সম্পর্ককে পেছনে ফেলে মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় স্থাপনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।
রোববার (১২ মার্চ) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়।
মোমেন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে এটি উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা ও সংঘাত কমাতে অবদান রাখার পাশাপাশি স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের উন্নতি এবং টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী শান্তির পথ তৈরি করবে। এ ধরনের ভূমিকা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ চীন, ইরাক এবং ওমানের ভূমিকার প্রশংসা করেছে।
অর্ধ-যুগের বেশি সময় পর আবার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় স্থাপন করতে রাজি হয়েছে সৌদি ও ইরান। আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশ দুটি কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু করতে এবং দূতাবাসগুলো আবার খুলতে রাজি হয়েছে। মূলত, চীনের মধ্যস্থতায় দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে দীর্ঘদিনের জমে থাকা বরফ গলেছে।
২০১৬ সাল থেকে তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ রয়েছে। ওই বছর সৌদি আরব ১ দিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে, যাদের বেশির ভাগ ছিলেন শিয়া মুসলিম। শিয়া সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী এক ধর্মীয় নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রতিবাদে তেহরানে সৌদি দূতাবাসে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। ওই ঘটনার জেরে ইরান ও সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্কে ইতি টানে।
এ ছাড়া আট বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইয়েমেন যুদ্ধে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে রয়েছে ইরান ও সৌদি আরব।