দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকার এরাইল্যাকুনা হাওরের ফসল রক্ষার বাঁধ নির্মাণের নামের উজার করা হচ্ছে, প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা টাঙ্গুয়ার হাওরের উল্লেখযোগ্য পলিয়ার বিল হিজল বাগানের বনাঞ্চল, উপরে ফেলা হয়েছে অর্ধশতাধিক শতবছরের হিজল গাছ।
স্থানীয়দের তথ্যমতে জানাযায় টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের তেরঘর ও রতনপুর গ্রামের কৃষকদের চাঁদা উত্তোলন করে এরাইল্যাকুনা হাওরের ফসল রক্ষার নামে,তেরঘর গ্রামের কৃষক গোলাপনুর ও ইউসুব আলীর নেতৃত্বে এ বাঁধ নির্মাণের কাজ করা হয়।তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কৃষক গোলাপনুর মিয়া বলেন ফসল রক্ষায় আমরা আমাদের চেয়ারম্যান এর অনুমিত নিয়ে বাঁধ নির্মাণ করেছি। কিন্তু গাছের কোন ক্ষতি করিনি। স্থানীয় পরিবেশ কর্মী মন্দিয়াতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাঞ্জু মিয়া বলেন ফসল রক্ষার নামের অপরিকল্পিত ভাবে টাঙ্গুয়ার হাওরের উল্লেখযোগ্য পলিয়ার বিলের হিজলের গাছ উপরে ফেলা বিষয়টি নিন্দনীয়,এই বাগানটি সংরক্ষিত একটি বাগান এর ক্ষতি যারা করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শান্তির দাবি জানাই স্থানীয় গোলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা সাবেক হাওর ব্যবস্থাপনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ খসরুল আলম বলেন শুনেছি টাঙ্গুয়ার হাওরের একমাত্র উল্লেখযোগ্য হিজলের বাগের গাছ কেটে বাঁধ দেওয়া হয়েছে,ফসল রক্ষায় বাঁধ দেওয়া হউক আপত্তি নেই কিন্তু গাছের ক্ষতি করে এমন কাজ নিন্দনীয়, যারা এর সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হউক। তবে এব্যাপারে শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হায়দার বলেন এব্যাপারে আমি কিছুই জানি না আমাকে কেউ জানায় নি,আর গাছ উপরে ফেলে বাঁধ দেওয়ার অনুমিত প্রশ্নই আসে না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও সুপ্রভাত চাকমা বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।