সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি এবং চরম অব্যবস্থাপনার কারণেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
তারা বলছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের এই বিপর্যয়ের ফলে জন-জীবনে চরম অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া কৃষি, শিল্প ও পরিবহন খাতে অস্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অসহনীয় মুদ্রাস্ফীতি।
সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সভায় সদস্যরা এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের এই বিপর্যয়ের ওপরে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হবে। সেখানে বিস্তারিত বলা হবে। চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতায় সভায় নিন্দা জানানো হয়। একইসঙ্গে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভাপতিত্বে আরও যুক্ত ছিলেন- ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
মির্জা ফখরুল বলেন, সভায় রাজবাড়ী জেলায় বিএনপি নেত্রী সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক, বরিশাল জেলা ছাত্রদল নেতা ফোরকান হোসেন ইরানকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া ও চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রাসেলকে র্যাব তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে সরকার পুনরায় গুম, মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তারের মাধ্যমে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন করতে চায়। অবিলম্বে গ্রেপ্তারদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়।