শরীরের অসুখকে যতটা গুরুত্ব আমরা দেই, মনের অসুখ ঠিক ততটা পাত্তা পায় না। এদিকে দিনে দিনে বাড়তে পারে বিষণ্ণতা। নিজের প্রতি উদাসীনতা আপনাকে নিয়ে যেতে পারে খাঁদের কিনারে। যে কারণে মানসিক চাপকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না কোনোভাবেই। এই চাপের পরিমাণ খুব বেশি হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিতিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অল্প-স্বল্প হলে কিছু নিয়ম মেনে চললেই কমবে মানসিক চাপ। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা ধরে রাখতেনিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে আমাদের মাসল বা পেশী শিথিল হয়। এতে মানসিকভাবেও আপনি অনেকটা হালকা বোধ করবেন। সেইসঙ্গে ধর্মীয় প্রার্থনা, মেডিটেশন ইত্যাদিও আপনার মনকে উৎফুল্ল রাখতে যথেষ্ট। তাই এ ধরনের ভালো অভ্যাসগুলো ধরে রাখুন।
সুগন্ধি ব্যবহার
আপনি হয়তো আগেও শুনে থাকবেন যে, আমাদের মন ভালো করতে গন্ধের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। নিজের জন্য বিভিন্ন ধরনের পারফিউম ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ঘরে রাখতে পারেন তাজা ফুল। বাজারে বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধী মোমবাতি কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো জ্বালাতে পারেন। এতে মন সতেজ থাকবে। সেইসঙ্গে থাকবেন পরিচ্ছন্ন। মন অনেকটাই ভালো থাকবে।
রঙের ব্যবহার
মানসিক চাপ কমাতে কাজ করে বিভিন্ন ধরনের রং। এমন অনেক রং আছে যেগুলো মন ভালো করে দেয়। মানসিক চাপ কমাতে রং-তুলি নিয়ে বসে পড়তে পারেন। যা মন চায় তাই আঁকাআঁকি করতে পারেন। খুব একটা ভালো আঁকতে না পারলেও ক্ষতি নেই। এতে আপনার মন অনেকটাই ফুরফুরে হয়ে উঠবে। নিজেকে হালকা মনে হবে।
মন যা চায়
মানুষ মানসিক চাপে বেশি ভোগে অন্যের কারণে। অন্যের মনের হতে চেয়ে যা কিছু করবেন, তা হয়তো আপনাকে আরও বেশি মানসিক চাপে ফেলে দিতে পারে। তাই নিজের মন যা কিছু চায় তাই করুন। যে কাজগুলো করতে আপনার ভালোলাগে, তাই করুন। অন্যের ক্ষতির কারণ না হয়ে নিজের আনন্দের জন্য কিছু করলে তাতে দোষের কিছু নেই। তাই মানসিক চাপ কমাতে আপনার প্রিয় কোনো কাজ করুন। হতে পারে তা রান্না, বই পড়া, মুভি দেখা, ঘোরাঘুরি কিংবা অন্যকিছু।