ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা কুমিল্লায় যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বেজমেন্ট ব্যবসায়ীদের ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ সানাউল হকের বিদায় সংবর্ধনা যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অপসারণ দাবি জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার দিলেন ইউএনও টঙ্গীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ফাঁসীর দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে লেক ভিউ আবাসিক হোটেলের নামে চলছে নারী জুয়া ও মাদক ব্যবসা

শিশুদের খাওয়া-দাওয়ায় অনীহা হলে যা করবেন

এখনকার বাবা-মায়েদের সব থেকে বড় অভিযোগ সম্ভবত এটাই যে, তাদের শিশুরা ঠিকমতো খেতে চায় না। শুধু অভিযোগই নয়, বরং এটি চিন্তার বিষয়ও। কারণ শিশু যদি একদমই খেতেই না চায় তবে তার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছাবে কীভাবে?

ফল দেখলেই নাক কুঁচকানো, দুধের কথা শুনলেই ছুটে পালিয়ে যাওয়া! এদিকে আবার ফাস্টফুড যেমন পিজ্জা, বার্গার, চিপস, কোল্ড ড্রিংকস হলে শিশুকে বলে দিতে হয় না। অন্যদিকে চাউমিন, পেস্ট্রি, চিপস এনে হাজির করলে, নিমেষে শেষ। এসব খাবার তারা খুব আগ্রহ করেই খায়। কিন্তু এসবে থাকে না প্রয়োজনীয় পুষ্টি। এর সমাধানে বাবা-মাকে নিতে হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তার সঙ্গে চাই একটু বুদ্ধি আর একটু স্ট্র্যাটেজি। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো-

অবসরে অথবা ছুটিতে আপনার বাচ্চাকে নিয়ে সারা সপ্তাহের খাবারের মেনু প্ল্যান করুন। বাচ্চাকে নিয়ে খেলার ছলে হেলথ ফুড সংক্রান্ত বই, পত্র-পত্রিকা বা ওয়েবসাইটও একসঙ্গে ঘাটাঘাটি করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে কথাগুলো যেন পড়ার বইয়ের মতো না হয়। প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে স্বাস্থ্যকর কিন্তু মুখরোচক খাবার, যেমন ফ্রুট সালাদ, মিল্ক শেক, ভেজিটেবল পরোটা রাখতে হবে। এছাড়া সপ্তাহে একদিন তার পছন্দের জাঙ্কফুডও খেতে দেওয়া যেতে পারে।

বাজার করার সময় আপনার বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন। বাজার করার সময় তাকে বিভিন্ন ধরনের মাছ, মাংস, ফল, সবজি ইত্যাদি চিনতে সাহায্য করুন। গল্পের ছলে বিভিন্ন খাবারের রং, আকার, গন্ধ, স্পর্শ বুঝতে সাহায্য করুন। এছাড়া রান্না করার সময় ওর মতামত নিন। দেখবেন নিজের পছন্দ করা খাবার মজা করেই খাবে।

বাচ্চাদের ডায়েটে ক্যালসিয়াম একটি অত্যন্ত জরুরি উপাদান। টোনড দুধ ঠান্ডা করে তার পছন্দমতো ফ্লেভার মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া টিফিনে কাস্টার্ড, পুডিং, চিজ স্যান্ডউইচ, ভেজিটেবল ক্যাসারোল জাতীয় মুখরোচক খাবার দিন। স্কুল থেকে ফিরে সফট ড্রিঙ্কের বদলে ফ্রেশ ফ্রুট জুস অথবা লেবুর শরবত তৈরি করে খাওয়ানো যেতে পারে।

শিশুর বাড়ন্ত বয়সে উৎসাহ ও প্রশংসা খুব ভালো কাজ করে। তাই শিশু খেতে না চাইলে তাকে বকাঝকা না করে তার বিভিন্ন কাজের প্রশংসা করুন। পাশাপাশি তার খেলাধুলা, লেখাপড়া কিংবা বুদ্ধিরও প্রশংসা করুন। এতে শিশুর মন ভালো হবে এবং সে খুশি মনে খেতে চাইবে। তাকে বুঝিয়ে বলুন যে খাবার ভালোভাবে শেষ করাটাও বুদ্ধিমানের কাজ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা

শিশুদের খাওয়া-দাওয়ায় অনীহা হলে যা করবেন

আপডেট সময় ০১:৩১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

এখনকার বাবা-মায়েদের সব থেকে বড় অভিযোগ সম্ভবত এটাই যে, তাদের শিশুরা ঠিকমতো খেতে চায় না। শুধু অভিযোগই নয়, বরং এটি চিন্তার বিষয়ও। কারণ শিশু যদি একদমই খেতেই না চায় তবে তার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছাবে কীভাবে?

ফল দেখলেই নাক কুঁচকানো, দুধের কথা শুনলেই ছুটে পালিয়ে যাওয়া! এদিকে আবার ফাস্টফুড যেমন পিজ্জা, বার্গার, চিপস, কোল্ড ড্রিংকস হলে শিশুকে বলে দিতে হয় না। অন্যদিকে চাউমিন, পেস্ট্রি, চিপস এনে হাজির করলে, নিমেষে শেষ। এসব খাবার তারা খুব আগ্রহ করেই খায়। কিন্তু এসবে থাকে না প্রয়োজনীয় পুষ্টি। এর সমাধানে বাবা-মাকে নিতে হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তার সঙ্গে চাই একটু বুদ্ধি আর একটু স্ট্র্যাটেজি। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো-

অবসরে অথবা ছুটিতে আপনার বাচ্চাকে নিয়ে সারা সপ্তাহের খাবারের মেনু প্ল্যান করুন। বাচ্চাকে নিয়ে খেলার ছলে হেলথ ফুড সংক্রান্ত বই, পত্র-পত্রিকা বা ওয়েবসাইটও একসঙ্গে ঘাটাঘাটি করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে কথাগুলো যেন পড়ার বইয়ের মতো না হয়। প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে স্বাস্থ্যকর কিন্তু মুখরোচক খাবার, যেমন ফ্রুট সালাদ, মিল্ক শেক, ভেজিটেবল পরোটা রাখতে হবে। এছাড়া সপ্তাহে একদিন তার পছন্দের জাঙ্কফুডও খেতে দেওয়া যেতে পারে।

বাজার করার সময় আপনার বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন। বাজার করার সময় তাকে বিভিন্ন ধরনের মাছ, মাংস, ফল, সবজি ইত্যাদি চিনতে সাহায্য করুন। গল্পের ছলে বিভিন্ন খাবারের রং, আকার, গন্ধ, স্পর্শ বুঝতে সাহায্য করুন। এছাড়া রান্না করার সময় ওর মতামত নিন। দেখবেন নিজের পছন্দ করা খাবার মজা করেই খাবে।

বাচ্চাদের ডায়েটে ক্যালসিয়াম একটি অত্যন্ত জরুরি উপাদান। টোনড দুধ ঠান্ডা করে তার পছন্দমতো ফ্লেভার মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া টিফিনে কাস্টার্ড, পুডিং, চিজ স্যান্ডউইচ, ভেজিটেবল ক্যাসারোল জাতীয় মুখরোচক খাবার দিন। স্কুল থেকে ফিরে সফট ড্রিঙ্কের বদলে ফ্রেশ ফ্রুট জুস অথবা লেবুর শরবত তৈরি করে খাওয়ানো যেতে পারে।

শিশুর বাড়ন্ত বয়সে উৎসাহ ও প্রশংসা খুব ভালো কাজ করে। তাই শিশু খেতে না চাইলে তাকে বকাঝকা না করে তার বিভিন্ন কাজের প্রশংসা করুন। পাশাপাশি তার খেলাধুলা, লেখাপড়া কিংবা বুদ্ধিরও প্রশংসা করুন। এতে শিশুর মন ভালো হবে এবং সে খুশি মনে খেতে চাইবে। তাকে বুঝিয়ে বলুন যে খাবার ভালোভাবে শেষ করাটাও বুদ্ধিমানের কাজ।