ঢাকা ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

চট্টগ্রামে পাহাড় খেকো ভূমিদস্যুদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন

চট্টগ্রামের বন পাহাড় ঘেরা আকবরশাহ থানাধীন এলাকার পাহাড় কর্তনকারীদের শাস্তির আওতায় আনার ও ঐতিহ্যবাহী কালিরছড়া উদ্ধার ও আকবরশাহ থানাধীন এলাকায় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও বিশালাকার পাহাড়,টিলা কেটে মাটি বিক্রি, সরকারি পাহাড় কেটে প্লট বানিজ্য এবং সেখানকার ঐতিহ্যবাহী কালিরছড়া ভরাট করে স্থানীয় কাউন্সিলর কর্তৃক দখল করে খামারসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা ছড়াটি উদ্ধারে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম এবং আমরা আকবরশাহবাসী নামের একটি মোর্চা।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম জামাল খান প্রেস ক্লাবের চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন এবং বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদ্য সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক আলিউর রহমান।

মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের রানী হিসেবে সুখ্যাতি পাওয়ার অন্যতম কারণ এই অঞ্চলের পাহাড়-টিলা-বন আর নদীসমৃদ্ধ সাগর। প্রকৃতির অপার সৃষ্টি এই সম্পদগুলোর কল্যাণে চট্টগ্রামের প্রকৃতি-পরিবেশ অনিন্দ্যসৌন্দর্য রূপ ধারণ করেছে। চট্টগ্রাম নগরে একখন্ড পার্বত্যাঞ্চল হিসেবে পরিচিত আকবরশাহ’র বিশালাকার পাহাড় ও টিলাগুলো কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এখনও যেসব পাহাড়-টিলা রয়েছে সেগুলোও প্রতিদিন কাটা হচ্ছে। গত ৬-৭ বছরে এই অঞ্চলের অন্তত ৪২টি পাহাড় কেটে সাবাড় করা হয়েছে। শুরুটা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন করলেও পরবর্তীতে তা একজনমাত্র জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে নিশ্চিহ্নের পথে। শুধু পাহাড় নয়, ভুমি রেকর্ডে খাল হিসেবে চিহ্নিত প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি ঐতিহ্যবাহী কালিরছড়াটি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে গরুর খামার ও জনপ্রতিনিধির ব্যক্তিগত অফিস সহ বিভিন্ন স্থাপনা। অথচ এই খাল ও ছড়া রক্ষায় বায়েজিদ লিংক রোডে মোট ৬টি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে।

বক্তারা বলেন, সরকারি দপ্তরগুলো কালেভদ্রে উদ্যোগ নিলেও প্রকৃত অপরাধী বিশেষ করে পরিবেশ ধ্বংসে নেতৃত্ব দেয়া জনপ্রতিনিধিদের আইনের আওতায় আনতে অনীহা দেখা গেছে এ পর্যন্ত হওয়া কয়েকটি মামলায়। শুধুমাত্র ২০২২ সালেই পাহাড় কাটায় অন্তত ৬টি মামলা হয়েছে। কিন্তু এসব মামলায় শুধু শ্রমিকদের আসামি করা হয়, ছাড় দেয়া হয় রাজনীতির পদ-পদবী ব্যবহার করে পরিবেশ ধ্বংসে নেতৃত্ব দেয়া পাহাড়খেকোদের। এভাবে বিচারহীনতার কারণে আজ পুরো চট্টগ্রামের পরিবেশ বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলার প্রধানতম হাতিয়ার এই পাহাড়-ছড়া-খাল রক্ষা করে ভবিষ্যত প্রজন্মেও নিশ্বাস নেয়ার ব্যবস্থাটুকু রাখার দাবি জানান তারা। এই কালিরছড়া দিয়ে সলিমপুরের পাহাড়ি পানিগুলো আকবরশাহ দিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ে। এই অঞ্চলের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে এই ছড়াটি প্রধান মাধ্যম।সেই সাথে নগরীর বিভিন্ন এলাকা দিয়ে প্রবাহিত ময়লা আবর্জনা পরিপূর্ণ খাল গুলো অনতিবিলম্বে বর্জ্য অপসারণ ও খনন করে জলাবদ্ধতা নিরসনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
সভায় বক্তারা আকবরশাহ’র অসংখ্য পাহাড় কাটার হোতা, কালিরছড়া দখলকারী ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম সহ অন্যান্য অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে তাদের শাস্তি নিশ্চিতের জোর দাবি জানান।

পরিবেশ সংগঠক ও সাংবাদিক আলিউর রহমান বলেন, আমরা ১ মাসের সময় দিচ্ছি। কালিরছড়া উদ্ধারে যদি কোনো ব্যবস্থা নেয়া না হয়, আকবরশাহ’র অসংখ্য পাহাড় কাটার হোতাদের যদি আইনের আওতায় এনে শাস্তির পথ সুগম করা না হয়, অবশিষ্ট পাহাড়গুলো রক্ষায় যদি কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আমরাই আইনের কাটগড়ায় দাঁড় করানোর উদ্যোগ নেবো।

পরিবেশকর্মী ও উন্নয়ন সংগঠক, সাংবাদিক মো. শফিকুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গেরিলা কমান্ডার আবুল ফজল শাহাবুদ্দীন, কর্ণফুলী সুরক্ষা পরিষদ’র সভাপতি ও দৈনিক দেশবাংলা পত্রিকার চট্রগ্রাম’র আবাসিক সম্পাদক কামাল পারভেজ, গ্রীন ফিঙ্গার্স কো-ফাউন্ডার ঋতু ফারাবি ও আবু সুফিয়ান, পরিবেশ কর্মী আবসার উদ্দিন অলি, সার্ক মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মো. জাফর ইকবাল, ন্যাপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাশ গুপ্ত, সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের চট্টগ্রাম মহানগর সমন্বয়ক মো. ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো. হুমায়ুন কবির, আকবরশাহ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং পরিবেশ সুরক্ষা ও অধিকার ফোরামের নগর সভাপতি মো. লোকমান আলী, আকবরশাহ থানা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি দিলীপ দাশ, আকবরশাহ থানা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ জাহিদ, পরিবেশ সুরক্ষাকর্মী সবিতা বিশ্বাস, বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাংবাদিক ইসমাইল ইমন, সাংবাদিক জুবাইর, আব্দুস সাত্তার টিটু, তৌকির উদ্দিন আনিস, আরাফাত রনি প্রমুখ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে খাল পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার অভিযানের উদ্বোধন

চট্টগ্রামে পাহাড় খেকো ভূমিদস্যুদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৩:০২:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

চট্টগ্রামের বন পাহাড় ঘেরা আকবরশাহ থানাধীন এলাকার পাহাড় কর্তনকারীদের শাস্তির আওতায় আনার ও ঐতিহ্যবাহী কালিরছড়া উদ্ধার ও আকবরশাহ থানাধীন এলাকায় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও বিশালাকার পাহাড়,টিলা কেটে মাটি বিক্রি, সরকারি পাহাড় কেটে প্লট বানিজ্য এবং সেখানকার ঐতিহ্যবাহী কালিরছড়া ভরাট করে স্থানীয় কাউন্সিলর কর্তৃক দখল করে খামারসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা ছড়াটি উদ্ধারে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম এবং আমরা আকবরশাহবাসী নামের একটি মোর্চা।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম জামাল খান প্রেস ক্লাবের চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন এবং বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদ্য সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক আলিউর রহমান।

মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের রানী হিসেবে সুখ্যাতি পাওয়ার অন্যতম কারণ এই অঞ্চলের পাহাড়-টিলা-বন আর নদীসমৃদ্ধ সাগর। প্রকৃতির অপার সৃষ্টি এই সম্পদগুলোর কল্যাণে চট্টগ্রামের প্রকৃতি-পরিবেশ অনিন্দ্যসৌন্দর্য রূপ ধারণ করেছে। চট্টগ্রাম নগরে একখন্ড পার্বত্যাঞ্চল হিসেবে পরিচিত আকবরশাহ’র বিশালাকার পাহাড় ও টিলাগুলো কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এখনও যেসব পাহাড়-টিলা রয়েছে সেগুলোও প্রতিদিন কাটা হচ্ছে। গত ৬-৭ বছরে এই অঞ্চলের অন্তত ৪২টি পাহাড় কেটে সাবাড় করা হয়েছে। শুরুটা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন করলেও পরবর্তীতে তা একজনমাত্র জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে নিশ্চিহ্নের পথে। শুধু পাহাড় নয়, ভুমি রেকর্ডে খাল হিসেবে চিহ্নিত প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি ঐতিহ্যবাহী কালিরছড়াটি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে গরুর খামার ও জনপ্রতিনিধির ব্যক্তিগত অফিস সহ বিভিন্ন স্থাপনা। অথচ এই খাল ও ছড়া রক্ষায় বায়েজিদ লিংক রোডে মোট ৬টি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে।

বক্তারা বলেন, সরকারি দপ্তরগুলো কালেভদ্রে উদ্যোগ নিলেও প্রকৃত অপরাধী বিশেষ করে পরিবেশ ধ্বংসে নেতৃত্ব দেয়া জনপ্রতিনিধিদের আইনের আওতায় আনতে অনীহা দেখা গেছে এ পর্যন্ত হওয়া কয়েকটি মামলায়। শুধুমাত্র ২০২২ সালেই পাহাড় কাটায় অন্তত ৬টি মামলা হয়েছে। কিন্তু এসব মামলায় শুধু শ্রমিকদের আসামি করা হয়, ছাড় দেয়া হয় রাজনীতির পদ-পদবী ব্যবহার করে পরিবেশ ধ্বংসে নেতৃত্ব দেয়া পাহাড়খেকোদের। এভাবে বিচারহীনতার কারণে আজ পুরো চট্টগ্রামের পরিবেশ বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলার প্রধানতম হাতিয়ার এই পাহাড়-ছড়া-খাল রক্ষা করে ভবিষ্যত প্রজন্মেও নিশ্বাস নেয়ার ব্যবস্থাটুকু রাখার দাবি জানান তারা। এই কালিরছড়া দিয়ে সলিমপুরের পাহাড়ি পানিগুলো আকবরশাহ দিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ে। এই অঞ্চলের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে এই ছড়াটি প্রধান মাধ্যম।সেই সাথে নগরীর বিভিন্ন এলাকা দিয়ে প্রবাহিত ময়লা আবর্জনা পরিপূর্ণ খাল গুলো অনতিবিলম্বে বর্জ্য অপসারণ ও খনন করে জলাবদ্ধতা নিরসনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
সভায় বক্তারা আকবরশাহ’র অসংখ্য পাহাড় কাটার হোতা, কালিরছড়া দখলকারী ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম সহ অন্যান্য অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে তাদের শাস্তি নিশ্চিতের জোর দাবি জানান।

পরিবেশ সংগঠক ও সাংবাদিক আলিউর রহমান বলেন, আমরা ১ মাসের সময় দিচ্ছি। কালিরছড়া উদ্ধারে যদি কোনো ব্যবস্থা নেয়া না হয়, আকবরশাহ’র অসংখ্য পাহাড় কাটার হোতাদের যদি আইনের আওতায় এনে শাস্তির পথ সুগম করা না হয়, অবশিষ্ট পাহাড়গুলো রক্ষায় যদি কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আমরাই আইনের কাটগড়ায় দাঁড় করানোর উদ্যোগ নেবো।

পরিবেশকর্মী ও উন্নয়ন সংগঠক, সাংবাদিক মো. শফিকুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গেরিলা কমান্ডার আবুল ফজল শাহাবুদ্দীন, কর্ণফুলী সুরক্ষা পরিষদ’র সভাপতি ও দৈনিক দেশবাংলা পত্রিকার চট্রগ্রাম’র আবাসিক সম্পাদক কামাল পারভেজ, গ্রীন ফিঙ্গার্স কো-ফাউন্ডার ঋতু ফারাবি ও আবু সুফিয়ান, পরিবেশ কর্মী আবসার উদ্দিন অলি, সার্ক মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মো. জাফর ইকবাল, ন্যাপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাশ গুপ্ত, সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের চট্টগ্রাম মহানগর সমন্বয়ক মো. ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো. হুমায়ুন কবির, আকবরশাহ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং পরিবেশ সুরক্ষা ও অধিকার ফোরামের নগর সভাপতি মো. লোকমান আলী, আকবরশাহ থানা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি দিলীপ দাশ, আকবরশাহ থানা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ জাহিদ, পরিবেশ সুরক্ষাকর্মী সবিতা বিশ্বাস, বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাংবাদিক ইসমাইল ইমন, সাংবাদিক জুবাইর, আব্দুস সাত্তার টিটু, তৌকির উদ্দিন আনিস, আরাফাত রনি প্রমুখ।