ময়মনসিংহে ভালুকায় এক নারী গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তথা কথিত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের নিশিন্দা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই সন্তানের জননী আলেয়া খাতুন মোজাম্মেলের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। তিনি স্থানীয় বাশার স্পিনিং মিলসে কর্মরত।
ঘটনার দিন শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে আলেয়া খাতুন আইডি কার্ডের ফটোকপি করার উদ্দেশ্যে বের হলে একই এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে ছাত্রলীগের নামধারী নেতা ইমরান জোরপূর্বক তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পাশেই একটা ঝোপঝাড়ের আড়ালে চলে যায়। নারী শ্রমিককে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার শ্লীলতাহানিসহ ধর্ষণ করার চেষ্টা করে লম্পট এই নেতা । টানা হেচড়ার এক পর্যায়ে আলেয়া অনেক কষ্টে দৌড়ে ওখান থেকে পালিয়ে বাড়িতে এসে ঘটনার বিষয়ে সবাইকে অবগত করে। বিষয়টি জানার পরও স্থানীয় মেম্বার এবং চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নেন মহিলা শ্রমিক।এ ঘটনায় ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী আলেয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে চরিত্রহীন ইমরানের লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, আমি এই অমানুষের পা পর্যন্ত ধরেছি।দস্তাদস্তীর এক পর্যায়ে আমি পালিয়ে এসেছি ঠিকই। কিন্তু আমার আর মাথা উঁচু করে বাঁচা হবে না।এই লম্পটকে সাপোর্ট করে অনেকেই তার উপর আপোষের জন্য চাপ প্রয়োগসহ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে তিনি আরো বলেন, আমার সাথে ঘটে যাওয়া অপরাধের সঠিক বিচার না হলে আমি সুইসাইড করব। গরীবের জন্য কি দেশে আইন নেই? ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই করিম বলেন, মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ আসামি গ্রেফতার করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। শীঘ্রই তাকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছেন নারীবাদীগন।