জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম টুইটারের মালিকানা হাতে নেওয়ার পরই সংস্থাটিতে ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই করেছিলেন ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। সেই ছাঁটাই অভিযানে চাকরি হারিয়েছিলেন সংস্থাটির প্রায় অর্ধেক কর্মী।
এতেও যেন শেষ হয়নি, মাস্কের সেই ছাঁটাই অভিযান চলছে এখনও। সংস্থাটি তার ট্রাস্ট ও সেফটি টিমে আরও কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। মার্কিন সংবাদমাধম ব্লুমবার্গ নিউজের বরাত দিয়ে রোববার (৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনপ্রিয় এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মটি তার ট্রাস্ট ও সেফটি টিমের আরও কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে বলে ব্লুমবার্গ নিউজ শনিবার জানিয়েছে। টুইটারের এই দু’টি বিভাগ বৈশ্বিক কন্টেন্ট মর্ডারেশন এবং ঘৃণাত্মক বক্তব্য ও হয়রানি সম্পর্কিত কাজ মোকাবিলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
ছাঁটাইয়ের বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে কোম্পানির ডাবলিন এবং সিঙ্গাপুর অফিসের অন্তত আরও এক ডজন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে যাদের ছাঁটাই করা হয়েছে তাদের মধ্যে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সাইট ইন্টিগ্রিটির প্রধান হিসাবে সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ করা নূর আজহার বিন আইয়ুবও রয়েছেন। এছাড়া এই তালিকায় টুইটারের রাজস্ব নীতির সিনিয়র ডিরেক্টর অ্যানালুইসা ডমিঙ্গুয়েজও রয়েছেন বলে ব্লুমবার্গ রিপোর্ট করেছে।
এছাড়া টুইটার প্লাটফর্মে ভুল তথ্য, বিশ্বব্যাপী আপিল এবং রাষ্ট্রীয় মিডিয়া সংক্রান্ত নীতি পরিচালনাকারী দলের কর্মীদেরও ছাঁটাই করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। টুইটারের ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট এলা আরউইন রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন, গত শুক্রবার রাতে টুইটার ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি টিমে কিছু ছাঁটাই করেছে কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেননি তিনি।
ইমেইলের মাধ্যমে এলা আরউইন বলেন, ‘আমাদের ট্রাস্ট এবং সেফটি টিমে হাজার হাজার লোক রয়েছেন যারা কন্টেন্ট মর্ডারেশন নিয়ে কাজ করেন এবং যেসব টিম প্রতিদিন কাজ করে তাদের ছাঁটাই করা হয়নি।’ উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে রেকর্ড ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে টুইটার কিনে নেন ইলন মাস্ক। এরপর নভেম্বরের শুরুতে খরচ কমানোর অজুহাতে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কর্মী ছাঁটাই করে টুইটার। পরবর্তীতে আরও কয়েক শতাধিক কর্মী টুইটার থেকে পদত্যাগ করেন।