জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ২০১০-১১ অর্থবছরে বিপুলসংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২২ সালে এসে নিয়োগ পাওয়া ওই সব চিকিৎসককে চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকার ধানমন্ডির জিনজিয়ান রেস্টুরেন্টে কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠান ও মিলনমেলায় আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন সারাদেশ থেকে আসা প্রায় ৭০০ চিকিৎসক।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অংশবিশেষ পাঠের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নিয়ে আলোচনা করা হয়। শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় উপস্থিত সবাই আগামী দিনগুলো আরও সুন্দর এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন ডা. জুয়েল আলিম ও ডা. নীলাদ্রি হোড় (পার্থ)। সার্বিক দিকনির্দেশনা ও সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন ডা. নন্দলাল সূত্রধর। অন্যান্য কাজে সহযোগিতা করেন ডা. নুরুজ্জামান শাকিল, ডা. কামরুন নাহার, ডা. তানজিন পারভিন, ডা. গোলাম মোস্তফা ও ডা. মো. শরীফ বুলবুল সহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী ডা. নন্দলাল সূত্রধর বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে স্মরণ করে ২০১০-১১ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাঁর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়া ওই সময় নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকগণ সার্বিক স্বাস্থ্যসেবায় যেসব অবদান রেখেছেন, তা সবার সামনে তুলে ধরেন।
পরে জমকালো পরিবেশে পিঠা উৎসব, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সমন্বয়কারী ডা. নন্দলাল সূত্রধরকে ক্রেস্ট প্রদান এবং ‘জলের গান’-এর সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী মিলনমেলার অনুষ্ঠান শেষ হয়।