অধিকাংশ মানুষই অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগে থাকেন। খাবারে একটু এদিক-সেদিক হলেই দেখা দেয় এই সমস্যা। তাই থাকতে হয় সতর্ক। অনেকে আবার অ্যাসিডিটি দেখা দিলেই আগেভাগে অ্যান্টাসিড খেয়ে থাকেন। কিন্তু এটি কোনো সমাধান নয়। এ প্রসঙ্গে কলকাতার বিশিষ্ট ডায়েটেশিয়ান মীনাক্ষী মজুমদার বলেন, অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রে ডায়েট মানতে হবে। পাশাপশি ব্যায়াম, মাইন্ডফুলনেস করলেও উপকার পাবেন। জেনে নিন এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে যেগুলো খেলে অ্যাসিডিটি দূর হবে-
প্রচুর পানি পান করুন
অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে প্রচুর পানি পান করতে হবে। কারণ পর্যাপ্ত পানি পান করলে হজম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে চলতে পারে। দিনে অন্তত আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করুন। এতে সুস্থ থাকা বেশি সহজ হবে। পানি পানের কারণে অ্যাসিডিটি ছাড়াও আরও অনেক সমস্যা দূর হবে। শীতের সময়েও এই অভ্যাস বদলানো যাবে না।
ওটস খান
ওটস অনেক উপকারী একটি খাবার। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত ফাইবার। হজমের জন্য এই ফাইবার বেশ সহায়ক। পেট ভালো রাখার পাশাপাশি সুগারও নিয়ন্ত্রণ করে। সেইসঙ্গে ওটস খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। বারবার ক্ষুধা না লাগার কারণে খাওয়াও হয় পরিমিত। ফলে ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকে না। নিয়মিত ওটস খেলে অ্যাসিডিটির ভয় দূর হবে।
চিড়া
চিড়া খেলে অনেকগুলো উপকার পাবেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাসিডিটির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসবে। এতে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান পেটের অনেক সমস্যা দূর করতে কাজ করে। তাই অ্যাসিডিটি হলে চিড়া কিংবা চিড়ার পোলাও খেতে পারেন। তবে এই পোলাও তৈরির সময় খুব সামান্য তেল দেবেন। বেশি তেল ব্যবহার করলে সমস্যা বাড়তে পারে।
সকালে হালকা গরম পানি পান করুন
প্রতিদিন সকালে উঠে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করুন। এতে আপনার অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেকটাই দূর হবে। এই পানি পেটের অনেক সমস্যার সমাধান করে থাকে। অন্ত্র পরিষ্কারেও এটি কার্যকরী। তবে এই পানির সঙ্গে লেবুর রস মেশাতে যাবেন না যেন। কারণ এতে অ্যাসিডিটির সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
ডিম ও ছানা
প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস হলো ডিম। এটি সহজলভ্য এবং সহজপাচ্য। সেইসঙ্গে খেতে পারেন ছানা। তবে এই ছানা হতে হবে ফ্যাট ছাড়া দুধের তৈরি। কারণ বাড়তি ফ্যাট যোগ হলে অ্যাসিডিটি নাও কমতে পারে। এসব খাবার খাওয়ার পরও অ্যাসিডিটি না কমলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।