শীতে নাকি মানুষের সৌন্দর্য কমে যায়। এটি অবশ্য মিথ্যাও নয়। কারণ রুক্ষ- শুষ্ক আবহাওয়ার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকে। আর সবার আগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের ঠোঁট। ফাটা ঠোঁট মানে কেবল দেখতেই খারাপ লাগে তা নয়, ব্যথা ও অস্বস্তির কারণও হয়ে দাঁড়ায় এই সমস্যা।
শীতের মৌসুমে ঠোঁট ফাটার হাত থেকে রক্ষা পেতে তাই নানা উপাদান ব্যবহার করেন অনেকে। এসময় কিছু ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেও ভালো রাখতে পারেন ঠোঁট। উপাদানগুলো রয়েছে আপনার বাড়িতেই। তাই বাড়তি কোনো খরচও হবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতে ঠোঁট ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়-
মধু ও অলিভ অয়েল ব্যবহার
ত্বকের যত্নে মধু কিংবা অলিভ অয়েলের ব্যবহার বেশ পুরোনো। এই দুই উপাদানের ব্যবহারে সুন্দর থাকবে আপনার ঠোঁটও। এর সঙ্গে মেশাতে হবে চিনি ও দারুচিনির গুঁড়া। মিশ্রণটি তৈরির জন্য প্রথমে নিন আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া। এবার তার সঙ্গে মেশান পরিমাণমতো মধু, অলিভ অয়েল ও চিনি। এবার ভালো করে ঠোঁটে ঘষে নিন। কিছুক্ষণ রেখে ঠোঁট ধুয়ে নিন। এরপর লিপবাম লাগিয়ে নিন।
নারিকেল তেল ও চিনি
ঠোঁট ভালো রাখতে এবং ঠোঁট ফাটা দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন নারিকেল তেল ও চিনির স্ক্রাব। সেজন্য নিতে হবে ১ চা চামচ নারিকেল তেল আর ১ চা চামচ চিনি। এবার এই দুই উপাদান মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিন। ঠোঁটে আলতো হাতে ঘষে নিন। এরপর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন। লিপবাম ব্যবহার করুন।
গোলাপ জল ব্যবহার
ত্বক সুন্দর রাখতে গোলাপজলের ব্যবহার নতুন নয়। এটি ভালো রাখে আমাদের ঠোঁটও। একটি বাটিতে অল্প নারিকেলের দুধ ও গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। ক্লিনজার তৈরি হলে সেটি ঠোঁটে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এভাবে প্রতিদিন সকালে ব্যবহার করতে পারেন।
গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার
খানিকটা কাঁচা দুধ নিয়ে তাতে গোলাপের তাজা পাপড়ি ভিজিয়ে রাখুন কয়েক ঘণ্টা। এরপর দুধসহ পাপড়িগুলোর পেস্ট তৈরি করে নিন। মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে দিন কিছুক্ষণ। এরপর ঠান্ডা ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে আলতো হাতে ঠোঁট মুখে লিপবাম লাগিয়ে নিন।
দই ও লেবুর রস
ঠোঁট ভালো রাখতে দইয়ের ব্যবহার বেশ কার্যকরী। সেজন্য আপনাকে নিতে হবে ২ চা চামচ দই ও ১ চা চামচ লেবুর রস। এবার একটি মাস্কের মতো তৈরি করতে হবে। তৈরি হলে ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে লিপবাম লাগিয়ে নিন।