প্রয়াত দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই নেতার কফিনে শ্রদ্ধা জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাতে অংশ নেন নেতাকর্মীরা।
এসময় শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মৃতিচারণ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বাধিকার আন্দোলন, আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে বিশাল ভূমিকা রেখেছেন তিনি। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তার সেই আন্দোলন আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই অত্যন্ত সুবক্তা। আর তিনি মুক্তিযুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের পরে এবং আগে বিশাল ভূমিকা রেখেছেন।
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ভারতীয় সংসদে বাংলাদেশের পক্ষে যে বক্তব্যে রেখেছিলেন তা ঐতিহাসিক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।খন্দকার মোশাররফ বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান যে প্রেক্ষাপট, আজ গণতন্ত্র নেই। এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সামনে। আজ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের মতো একজন সংগ্রামী নেতা আমাদের খুবই প্রয়োজন ছিল।
জানাজায় অংশ নেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান, আমান উল্লাহ আমান, আবুদস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, শামীমুর রহমান শামীম, তাইফুল ইসলাম টিপু, ইশরাক হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ২০ দলীয় জোটের নেতা ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খন্দকার লুৎফর রহমান, সাইফুদ্দিন আহমেদ মণি প্রমুখ অংশ নেন।
বর্ষীয়ান রাজনীতিক শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রথম জানাজা বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জানাজা বাদ জোহর মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর স্টেডিয়াম এবং তৃতীয় ও শেষ জানাজা বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে (সেন্ট্রাল মসজিদ) অনুষ্ঠিত হবে। পরে বনানী কবরস্থানে সহধর্মিণীর কবরের পাশে তার মরদেহ দাফন করার কথা রয়েছে।