স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির সমন্বয় এবং আইসিটি, তথ্য ও টেলিকমসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
আজ রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এসব কথা বলেন। টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) ও মোবাইল অপারেটর রবি আয়োজিত বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।
বৈঠকে অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যখন ৬জি নিয়ে কাজ করছে তখনো আমরা ৫জিতে যেতে পারিনি। আমাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং ডাটা কমিউনিকেশন ডেভেলপমেন্ট ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে গড়তে ইউনিভার্সিটিগুলোর সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির সমন্বয় এবং আইসিটি, তথ্য, টেলিকমসহ মিনিস্ট্রিগুলোকে সকল স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। তা না হলে আমরা পিছিয়ে যাব।
মূল প্রবন্ধে ড. মঞ্জুর হোসেন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য এখন আমাদের টেলিকম, আইটি, ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইফিসিয়েন্সি বাড়ানো, সার্ভিস কস্ট কমানো, ডিজিটাল লিটারেসি, ডিভাইস পারচেজিং ক্যাপাসিটি বাড়ানোর জন্য কাজ করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মোবাইল অপারেটরদের বড় ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। এজন্য প্রয়োজনে ইনসেনটিভ দেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।
ডেটা সেবার প্রসারে প্রতিবন্ধকতাগুলোকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে সাহেদ আলম বলেন, বৈশ্বিক তুলনামূলক প্রেক্ষাপটে আমরা অনেক কম খরচে ডেটা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবুও সেটা অনেকের কাছেই সাশ্রয়ী হচ্ছে না মূলতঃ উচ্চ কর হারের কারণে। করের বোঝা একটু কম হলে আরো সাশ্রয়ী মূল্যে গ্রাহকদের ডেটা সেবা দেওয়া সম্ভব। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সরকারের অনন্য পদক্ষেপ এবং টেলিকম অপারেটরদের সহযোগী ভূমিকার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।