ঢাকা ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা কুমিল্লায় যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বেজমেন্ট ব্যবসায়ীদের ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ সানাউল হকের বিদায় সংবর্ধনা যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অপসারণ দাবি জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার দিলেন ইউএনও টঙ্গীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ফাঁসীর দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে লেক ভিউ আবাসিক হোটেলের নামে চলছে নারী জুয়া ও মাদক ব্যবসা

সঙ্গী আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করছে, যেভাবে বুঝবেন

সুন্দর সহজ সম্পর্কগুলোও অনেক সময় চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হয়। মাঝে মাঝে সঙ্গীরা সম্পর্কের সুবিধা নিতে গিয়ে সম্পর্কই নষ্ট করে ফেলে। তাদের চরিত্রেও পরিবর্তন আসে। অপমান করা, ব্ল্যাকমেইল করা, আচরণ নিয়ন্ত্রণ কারার চেষ্টা করবে সবসময়।

আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে কাছের মানুষগুলো জড়িত থাকে। এই মানুষগুলো যতো কাছাকাছি থাকবে ততই আপনার মানসিক শক্তি বাড়বে। একইভাবে মানসিক স্বাস্থ্য ধ্বংসও করে দিতে পারে এই কাছের মানুষই। ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের কারণে ভোগ করতে হয় কষ্ট। কারণ কাছের মানুষ অবহেলা করলে নিজেকে অনেক মূল্যহীন মনে হয়। সম্পর্কে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল চলে আসাটা মোটেও ভালো নয়।

১. একটি সুস্থ, সুন্দর সম্পর্ক, সেখানে দেওয়া ও নেওয়ায়র একটি ভারসাম্য থাকবে। সঙ্গী আপনাকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করতে চাইলে, বেশি বেশি উপহার দেওয়া শুরু করতে পারে কোনো কারণ ছাড়া। বলতে পারেন এক ধরনের ঘুষ। কারণ সে চাইছে আপনি তার প্রতি বাধ্য হয়ে যান। এই কাজ যারা করে তারা আপনার ভাল স্বভাব এবং উদারতার সদ্ব্যবহার করবে। সে আপনাকে অনেক কিছু দিবে ঠিকিই কিন্তু এর প্রাপ্য হিসেবে আপনার কাছে অনেক কিছুই দাবি করতে পারে। হতে পারে কোনো  বস্তুগত জিনিস বা মানসিক প্রতিশ্রুতি। যেমন বলতে পারে ‘আমি তোমার জন্য এতো কিছু করি, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না তুমি আমর জন্য সেই তুলনায় কিছুই করো না। ’ বা ‘তুমি যদি আমার জন্য এটা না করো এর মানে হলো তুমি আমাতে ভালোবাসো না। ’

তখন আপনার মাথায় যেটা ঘুরবে তা হলো, সে আমাকে এতো কিছু দেয় কিন্তু তার এই কথা আমি শুনবো না? তখন মন না চাইলেও অপরাধবোধে ভুগে সেই  কাজটিই আপনি করবেন।

২. বারবার অযৌক্তিক দাবি করছে সঙ্গী। কিন্তু আপনি বিরক্ত হয়েও ঢেকে ফেলার চেষ্টা করছেন। কারণ আপনি উল্টো কিছু বলতে গেলেই শুরু হয়ে যাবে ঝগড়া। এটাও এক ধরনের ব্ল্যাকমেইল করা। আপনার মাথায় সে ঢুকিয়ে দিয়েছে আপনি অযৌক্তিক দাবিগুলো না মানলে শুরু হবে অশান্তি।

৩. আপনরা সঙ্গী পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে আপনাকে মানসিকভাবে ব্ল্যাকমেইল করতে পারে। তাদের ব্যবহার এবং কথা বলার ধরন এতো সুন্দর হবে যে, আপনাকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। সম্পর্ক খারাপের দিকে যাবে বুঝছেন কিন্তু আপনি মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। মনে হবে তার ইচ্ছা না মানলে সে আপনাকে নানাভাবে মানসিক শাস্তি দিবে।

সরাসরি ভয় দেখালে বলতে পারে, তুমি তোমার সারাদিনের কাজ বাদ দিয়ে আমার সাথে থাকবে, যদি না মানতে পারো তাহলে আমাদের সম্পর্ক আর থাকবে না।

প্রত্যক্ষভাবে বলতে পারে, তুমি বাইরে যেতে চাচ্ছ যাও কিন্তু এর পরে যদি কিছু ঠিক না থাকে সেটা আমার দোষ না, মনে রাখবে। আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তারা নিজেদেরও ক্ষতি করতে পারে। এটা খুবই খারাপ। এমন কিছু হলে সাবধান হয়ে যান।

৪. মানুসিক ভাবে চাপ দেওয়ার কাজটা বার বার করেই যাবে। একবার করেই ক্ষান্ত হবে না। তার কথা আপনি মেনে নিচ্ছেন না এটা সে মানতে পারবে না। তাই বার বার ব্ল্যাকমেইল করে যাবে।

৫. সম্পর্কে যাই ভুল ঘটবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনার দোষই বেশি হবে। এটাও তার দাবি এবং মেনে নিতে হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা

সঙ্গী আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করছে, যেভাবে বুঝবেন

আপডেট সময় ১১:৩৪:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

সুন্দর সহজ সম্পর্কগুলোও অনেক সময় চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হয়। মাঝে মাঝে সঙ্গীরা সম্পর্কের সুবিধা নিতে গিয়ে সম্পর্কই নষ্ট করে ফেলে। তাদের চরিত্রেও পরিবর্তন আসে। অপমান করা, ব্ল্যাকমেইল করা, আচরণ নিয়ন্ত্রণ কারার চেষ্টা করবে সবসময়।

আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে কাছের মানুষগুলো জড়িত থাকে। এই মানুষগুলো যতো কাছাকাছি থাকবে ততই আপনার মানসিক শক্তি বাড়বে। একইভাবে মানসিক স্বাস্থ্য ধ্বংসও করে দিতে পারে এই কাছের মানুষই। ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের কারণে ভোগ করতে হয় কষ্ট। কারণ কাছের মানুষ অবহেলা করলে নিজেকে অনেক মূল্যহীন মনে হয়। সম্পর্কে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল চলে আসাটা মোটেও ভালো নয়।

১. একটি সুস্থ, সুন্দর সম্পর্ক, সেখানে দেওয়া ও নেওয়ায়র একটি ভারসাম্য থাকবে। সঙ্গী আপনাকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করতে চাইলে, বেশি বেশি উপহার দেওয়া শুরু করতে পারে কোনো কারণ ছাড়া। বলতে পারেন এক ধরনের ঘুষ। কারণ সে চাইছে আপনি তার প্রতি বাধ্য হয়ে যান। এই কাজ যারা করে তারা আপনার ভাল স্বভাব এবং উদারতার সদ্ব্যবহার করবে। সে আপনাকে অনেক কিছু দিবে ঠিকিই কিন্তু এর প্রাপ্য হিসেবে আপনার কাছে অনেক কিছুই দাবি করতে পারে। হতে পারে কোনো  বস্তুগত জিনিস বা মানসিক প্রতিশ্রুতি। যেমন বলতে পারে ‘আমি তোমার জন্য এতো কিছু করি, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না তুমি আমর জন্য সেই তুলনায় কিছুই করো না। ’ বা ‘তুমি যদি আমার জন্য এটা না করো এর মানে হলো তুমি আমাতে ভালোবাসো না। ’

তখন আপনার মাথায় যেটা ঘুরবে তা হলো, সে আমাকে এতো কিছু দেয় কিন্তু তার এই কথা আমি শুনবো না? তখন মন না চাইলেও অপরাধবোধে ভুগে সেই  কাজটিই আপনি করবেন।

২. বারবার অযৌক্তিক দাবি করছে সঙ্গী। কিন্তু আপনি বিরক্ত হয়েও ঢেকে ফেলার চেষ্টা করছেন। কারণ আপনি উল্টো কিছু বলতে গেলেই শুরু হয়ে যাবে ঝগড়া। এটাও এক ধরনের ব্ল্যাকমেইল করা। আপনার মাথায় সে ঢুকিয়ে দিয়েছে আপনি অযৌক্তিক দাবিগুলো না মানলে শুরু হবে অশান্তি।

৩. আপনরা সঙ্গী পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে আপনাকে মানসিকভাবে ব্ল্যাকমেইল করতে পারে। তাদের ব্যবহার এবং কথা বলার ধরন এতো সুন্দর হবে যে, আপনাকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। সম্পর্ক খারাপের দিকে যাবে বুঝছেন কিন্তু আপনি মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। মনে হবে তার ইচ্ছা না মানলে সে আপনাকে নানাভাবে মানসিক শাস্তি দিবে।

সরাসরি ভয় দেখালে বলতে পারে, তুমি তোমার সারাদিনের কাজ বাদ দিয়ে আমার সাথে থাকবে, যদি না মানতে পারো তাহলে আমাদের সম্পর্ক আর থাকবে না।

প্রত্যক্ষভাবে বলতে পারে, তুমি বাইরে যেতে চাচ্ছ যাও কিন্তু এর পরে যদি কিছু ঠিক না থাকে সেটা আমার দোষ না, মনে রাখবে। আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তারা নিজেদেরও ক্ষতি করতে পারে। এটা খুবই খারাপ। এমন কিছু হলে সাবধান হয়ে যান।

৪. মানুসিক ভাবে চাপ দেওয়ার কাজটা বার বার করেই যাবে। একবার করেই ক্ষান্ত হবে না। তার কথা আপনি মেনে নিচ্ছেন না এটা সে মানতে পারবে না। তাই বার বার ব্ল্যাকমেইল করে যাবে।

৫. সম্পর্কে যাই ভুল ঘটবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনার দোষই বেশি হবে। এটাও তার দাবি এবং মেনে নিতে হবে।