ঢাকা ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজবাড়ী সদরের আলীপুরে একই সময় দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার জান্নাতুলের, এলাকায় চাঞ্চল্য শেখ হাসিনার পতন ও বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলমের সখ্যতার নতুন খেলা” গুলশানে বেদখল হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি, জানা গেল বাড়িগুলোর নাম-ঠিকানা প্রয়োজন ছাড়া প্রকল্প তৈরি নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ কোটি টাকা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্মকর্তারা। ইলিয়াস কাঞ্চন এবং যুব ও ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এর মত বিনিময় অনুষ্ঠিত সার্ক ‘আইকন অব সার্জারি’ সম্মাননা পেলেন অধ্যাপক ডা. মওদুদ সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার সময় বাড়ল সাংবাদিক নূরুল কবিরকে বিমানবন্দরে হয়রানি, জামায়াতের উদ্বেগ নয়াদিল্লির প্রেস মিনিস্টার হলেন দুই সাংবাদিক ঐক্যকে রাখতে হবে ইস্পাত কঠিন অটুট: জামায়াত আমির

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়তে ঘুমালে যে সওয়াব পাবেন

তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বিশেষভাবে তাহাজ্জুদ পড়তে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। মূলত আরবি ‘তাহাজ্জুদ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ রাত জাগরণ বা নিদ্রা ত্যাগ করে রাতে নামাজ পড়া।

তাহাজ্জুদের নামাজ মৌলিকভাবে ‘কিয়ামুল লাইল’র অন্তর্ভুক্ত। এটা মুসল্লি বা তাহাজ্জুদ আদায়কারীর অবস্থাভেদে বিবেচ্য। কারণ, রাতে ঘুমের পর কেবল নামাজ আদায়ের জন্য জাগ্রত হওয়াই হলো- তাহাজ্জুদ। চাই তা অল্প সময়ের জন্য হোক বা বেশি সময়ের। আর কিয়ামুল লাইল হলো- নামাজ, জিকির, দোয়া ও কোরআন তেলাওয়াত ইত্যাদির সমষ্টি। এগুলো রাতের যেকোনো অংশে হতে পারে।

যে তাহাজ্জুদ আদায় করতে চায়, সে এশার নামাজ শেষে ঘুমিয়ে পড়বে। চাই তা অল্প সময়ের জন্য হোক। এরপর রাতের মধ্য ভাগে জেগে অল্প সময়ে দুই রাকাত নামাজ পড়বে। এরপর যত রাকাত ইচ্ছে নামাজ আদায় করবে, তবে নামাজ হতে হবে দুই রাকাত করে। দুই রাকাত শেষে সালাম ফিরাবে, আবার দুই রাকাত পড়বে…। এভাবে যত রাকাত সম্ভব, তাহাজ্জুদ আদায়ের পর বিতর নামাজ আদায় করবে। (শায়খ আবদুল আজিজ ইবনে আবদুল্লাহ বিন বাজ; কাইফিয়্যাতু সালাতুত তাহাজ্জুদ ওয়া কিয়ামুল লাইল, ফাতাওয়া নুরুন আলাদ দারব, খণ্ড : ১০, পৃষ্ঠা : ২১-২৪)

তাহাজ্জুদ নামাজ কুপ্রবৃত্তি দমনে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এ নামাজ মন ও মননকে নির্মল করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই রাতে ঘুম থেকে ওঠা মনকে দমিত করার জন্য অধিক কার্যকর। ওই সময়ে পাঠ করা (কোরআন তেলাওয়াত বা জিকির) একেবারে যথার্থ।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ০৬)

আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু আ’স (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে আবদুল্লাহ! তুমি অমুক ব্যাক্তির মত হয়ো না, সে রাত জেগে ইবাদাত করত, পরে রাত জেগে ইবাদাত করা ছেড়ে দিয়েছে। (বুখারি, হাদিস : ১১৫২)

কেউ তাহাজ্জুদের নিয়তে ঘুমালে তাহাজ্জুদ পড়তে না পারলেও তাহাজ্জুদের সওয়াব অর্জিত হবে বলে বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এক হাদিসে আবু দারদা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যদি কেউ রাতে ওঠে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করে ঘুমায়, কিন্তু তার ঘুমের আধিক্যের কারণে ফজরের আগে উঠতে না পারে, তাহলে তার নিয়ত অনুসারে সওয়াব তার জন্যে লেখা হবে। আর তার ঘুম আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য দান বা সদকা হিসেবে গণ্য হবে।’ হাদিসটি সহিহ। (নাসায়ি: ২/২৮৭; ইবনে মাজাহ: ১/৪২৬-৪২৭; মুসতাদরাক হাকেম: ১/৪৫৫)

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজবাড়ী সদরের আলীপুরে একই সময় দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার জান্নাতুলের, এলাকায় চাঞ্চল্য

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়তে ঘুমালে যে সওয়াব পাবেন

আপডেট সময় ০১:০৩:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বিশেষভাবে তাহাজ্জুদ পড়তে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। মূলত আরবি ‘তাহাজ্জুদ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ রাত জাগরণ বা নিদ্রা ত্যাগ করে রাতে নামাজ পড়া।

তাহাজ্জুদের নামাজ মৌলিকভাবে ‘কিয়ামুল লাইল’র অন্তর্ভুক্ত। এটা মুসল্লি বা তাহাজ্জুদ আদায়কারীর অবস্থাভেদে বিবেচ্য। কারণ, রাতে ঘুমের পর কেবল নামাজ আদায়ের জন্য জাগ্রত হওয়াই হলো- তাহাজ্জুদ। চাই তা অল্প সময়ের জন্য হোক বা বেশি সময়ের। আর কিয়ামুল লাইল হলো- নামাজ, জিকির, দোয়া ও কোরআন তেলাওয়াত ইত্যাদির সমষ্টি। এগুলো রাতের যেকোনো অংশে হতে পারে।

যে তাহাজ্জুদ আদায় করতে চায়, সে এশার নামাজ শেষে ঘুমিয়ে পড়বে। চাই তা অল্প সময়ের জন্য হোক। এরপর রাতের মধ্য ভাগে জেগে অল্প সময়ে দুই রাকাত নামাজ পড়বে। এরপর যত রাকাত ইচ্ছে নামাজ আদায় করবে, তবে নামাজ হতে হবে দুই রাকাত করে। দুই রাকাত শেষে সালাম ফিরাবে, আবার দুই রাকাত পড়বে…। এভাবে যত রাকাত সম্ভব, তাহাজ্জুদ আদায়ের পর বিতর নামাজ আদায় করবে। (শায়খ আবদুল আজিজ ইবনে আবদুল্লাহ বিন বাজ; কাইফিয়্যাতু সালাতুত তাহাজ্জুদ ওয়া কিয়ামুল লাইল, ফাতাওয়া নুরুন আলাদ দারব, খণ্ড : ১০, পৃষ্ঠা : ২১-২৪)

তাহাজ্জুদ নামাজ কুপ্রবৃত্তি দমনে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এ নামাজ মন ও মননকে নির্মল করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই রাতে ঘুম থেকে ওঠা মনকে দমিত করার জন্য অধিক কার্যকর। ওই সময়ে পাঠ করা (কোরআন তেলাওয়াত বা জিকির) একেবারে যথার্থ।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ০৬)

আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু আ’স (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে আবদুল্লাহ! তুমি অমুক ব্যাক্তির মত হয়ো না, সে রাত জেগে ইবাদাত করত, পরে রাত জেগে ইবাদাত করা ছেড়ে দিয়েছে। (বুখারি, হাদিস : ১১৫২)

কেউ তাহাজ্জুদের নিয়তে ঘুমালে তাহাজ্জুদ পড়তে না পারলেও তাহাজ্জুদের সওয়াব অর্জিত হবে বলে বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এক হাদিসে আবু দারদা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যদি কেউ রাতে ওঠে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করে ঘুমায়, কিন্তু তার ঘুমের আধিক্যের কারণে ফজরের আগে উঠতে না পারে, তাহলে তার নিয়ত অনুসারে সওয়াব তার জন্যে লেখা হবে। আর তার ঘুম আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য দান বা সদকা হিসেবে গণ্য হবে।’ হাদিসটি সহিহ। (নাসায়ি: ২/২৮৭; ইবনে মাজাহ: ১/৪২৬-৪২৭; মুসতাদরাক হাকেম: ১/৪৫৫)