ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঞ্চল্যকর জালিয়াতি: ‘নামের কারণে’ ১৪ বছর চাকরি করছেন ফেল করা ব্যক্তি অনাগত সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারলেন না আলিফ মুসলিম বীর টিপু সুলতানকে কেন হিন্দুবিদ্বেষী প্রমাণ করতে চায় বিজেপি? জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা: খালেদা জিয়াসহ সবাই খালাস জরুরি অবস্থা জারি ও ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন ঐতিহ্যবাহী পাবনা প্রেস ক্লাবের অনিয়ম: বিদ্যুৎ বিল, লিজমানি ও বাণিজ্য মেলার দুর্নীতি নিয়ে বিতর্ক কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ২৪ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য আটক দূর্গাপুরে ১৬৪০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষে অনিশ্চিয়তা শিশু সন্তানের সামনে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

উপদেশ দিয়ে নিজে আমল না করলে যে শাস্তি পাবেন

ইসলামে উপদেশ, সদুপদেশের গুরুত্ব অপরিসীম। কোরআন-হাদিসে মুসলিম উম্মাহকে সদুপদেশের বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা লোকদেরকে ন্যায়ের পথ অবলম্বন করতে বল; কিন্তু নিজেদের কথা ভুলে যাও। অথচ তোমরা কিতাব অধ্যয়ন করতে থাক। তোমরা কি বিচার-বুদ্ধিকে কোনো কাজেই লাগাও না?’ (সুরা বাকারা : আয়াত ৪৪)

পবিত্র কোরআনে নুহ (আ.) সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আমি তোমাদের কাছে আমার প্রতিপালকের পয়গাম পৌঁছাই এবং তোমাদের সদুপদেশ দিই। ’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৬২)

আবু রুকাইয়া তামিম বিন আউস আদ-দারি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই নবী (সা.) বলেন, ‘দ্বিন হলো সদুপদেশ বা কল্যাণ কামনা। ’ আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কার জন্য?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, তাঁর রাসুলের জন্য, মুসলমানের নেতার জন্য এবং সর্বসাধারণ মুসলিমের জন্য। ” (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২০৫)। আলোচ্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষের জন্য কল্যাণ কামনা ও সদুপদেশের প্রতি উৎসাহিত করেছেন।

ইবনে হারেসাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আনা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। সেখানে তার নাড়ি-ভুঁড়ি বের হয়ে যাবে এবং সে তার চারিপাশে এমনভাবে ঘুরতে থাকবে, যেমন গাধা তার চাকির চারিপাশে ঘুরতে থাকে। তখন জাহান্নামীরা তার কাছে একত্রিত হয়ে তাকে বলবে, ওহে অমুক! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না (আমাদেরকে) সৎ কাজের আদেশ, আর অসৎ কাজে বাধা দান করতে?’ সে বলবে, অবশ্যই। আমি (তোমাদেরকে) সৎকাজের আদেশ দিতাম; কিন্তু আমি তা নিজে করতাম না এবং অসৎ কাজে বাধা দান করতাম; অথচ আমি নিজেই তা করতাম!’’ (বুখারি৩২৬৭, ৭০৯৮, মুসলিম ২৯৮৯, আহমদ ২১২৭৭, ২১২৮৭, ২১২৯৩, ২১৩১২)

হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, ‘ইসরার (মিরাজ) রাতে আমি এমন একশ্রেণির মানুষের কাছ দিয়ে গমন করলাম, যাদের জিহ্বাকে জাহান্নামের কাঁচি দিয়ে কাটা হচ্ছে। আমি জিবরাঈলকে (আ.) জিজ্ঞাসা করলাম, ওরা কারা? তিনি বললেন, এরা হলো তোমার উম্মতের দুনিয়াদার বক্তা। তারা যেসব ভালো কাজের আদেশ করতো, তা নিজেরা ভুলে বসতো, অথচ তারা কিতাব পাঠ করছে। তবুও কি তারা বুঝবে না।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১২২১১)

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঞ্চল্যকর জালিয়াতি: ‘নামের কারণে’ ১৪ বছর চাকরি করছেন ফেল করা ব্যক্তি

উপদেশ দিয়ে নিজে আমল না করলে যে শাস্তি পাবেন

আপডেট সময় ১২:৪৮:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২

ইসলামে উপদেশ, সদুপদেশের গুরুত্ব অপরিসীম। কোরআন-হাদিসে মুসলিম উম্মাহকে সদুপদেশের বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা লোকদেরকে ন্যায়ের পথ অবলম্বন করতে বল; কিন্তু নিজেদের কথা ভুলে যাও। অথচ তোমরা কিতাব অধ্যয়ন করতে থাক। তোমরা কি বিচার-বুদ্ধিকে কোনো কাজেই লাগাও না?’ (সুরা বাকারা : আয়াত ৪৪)

পবিত্র কোরআনে নুহ (আ.) সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আমি তোমাদের কাছে আমার প্রতিপালকের পয়গাম পৌঁছাই এবং তোমাদের সদুপদেশ দিই। ’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৬২)

আবু রুকাইয়া তামিম বিন আউস আদ-দারি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই নবী (সা.) বলেন, ‘দ্বিন হলো সদুপদেশ বা কল্যাণ কামনা। ’ আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কার জন্য?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, তাঁর রাসুলের জন্য, মুসলমানের নেতার জন্য এবং সর্বসাধারণ মুসলিমের জন্য। ” (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২০৫)। আলোচ্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষের জন্য কল্যাণ কামনা ও সদুপদেশের প্রতি উৎসাহিত করেছেন।

ইবনে হারেসাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আনা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। সেখানে তার নাড়ি-ভুঁড়ি বের হয়ে যাবে এবং সে তার চারিপাশে এমনভাবে ঘুরতে থাকবে, যেমন গাধা তার চাকির চারিপাশে ঘুরতে থাকে। তখন জাহান্নামীরা তার কাছে একত্রিত হয়ে তাকে বলবে, ওহে অমুক! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না (আমাদেরকে) সৎ কাজের আদেশ, আর অসৎ কাজে বাধা দান করতে?’ সে বলবে, অবশ্যই। আমি (তোমাদেরকে) সৎকাজের আদেশ দিতাম; কিন্তু আমি তা নিজে করতাম না এবং অসৎ কাজে বাধা দান করতাম; অথচ আমি নিজেই তা করতাম!’’ (বুখারি৩২৬৭, ৭০৯৮, মুসলিম ২৯৮৯, আহমদ ২১২৭৭, ২১২৮৭, ২১২৯৩, ২১৩১২)

হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, ‘ইসরার (মিরাজ) রাতে আমি এমন একশ্রেণির মানুষের কাছ দিয়ে গমন করলাম, যাদের জিহ্বাকে জাহান্নামের কাঁচি দিয়ে কাটা হচ্ছে। আমি জিবরাঈলকে (আ.) জিজ্ঞাসা করলাম, ওরা কারা? তিনি বললেন, এরা হলো তোমার উম্মতের দুনিয়াদার বক্তা। তারা যেসব ভালো কাজের আদেশ করতো, তা নিজেরা ভুলে বসতো, অথচ তারা কিতাব পাঠ করছে। তবুও কি তারা বুঝবে না।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১২২১১)