ঢাকা ০৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলী আহমদ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষকে স্বপদে যোগদানে বাধা 

রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন গোড়ানে অবস্থিত আলী আহমদ স্কুল এন্ড কলেজের ছুটিতে থাকা অধ্যক্ষ নাছিমা পারভীন স্বপদে যোগদান করতে গেলে বাধা প্রদান করে এক অদৃশ্য শক্তি। এ নিয়ে দু-পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ৬ এপ্রিল রবিবার রাজধানীর খিলগাঁও থানার গোড়ানে আলী আহমদ স্কুল এন্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সরে জমিনে যায় সংবাদ কর্মীরা। জানা যায়, ২০১৬ সালে ১লা ফেব্রুয়ারী আলী আহমদ স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন নাছিমা পারভীন । ২০২৩ সালে একটি অদৃশ্যচক্র তার নামে মিথ্যা, বানোয়াট হিসেব দেখিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আনে। পরে তিনি (নাছিমা পারভীন) আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে স্বপদে বহাল থাকেন। ২০২৩ সালে অদৃশ্য চক্রটি আইনি লড়াইয়ে জিততে না পেরে, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর তার সাঙ্গ পাঙ্গদের নিয়ে তাদের কুট কৌশল বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করে। তারই ধারাবাহিকতায় গভর্নিং বডির সদস্যদের সাথে আঁতাত করে ২১শে আগস্ট ২০২৪ তাকে কলেজ থেকে বহিস্কার করার অপচেষ্টা চালান। পরিস্থিতির শিকার হয়ে তিনি পদত্যাগ না করে ছুটিতে চলে যান। ছুটি শেষে তিনি স্বপদে যোগদান করতে গেলে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গুলশানারা অধ্যক্ষের রুমের চাবি দিতে অস্বীকার করেন। তিনি জানান গভর্নিং বোর্ডের সভাপতির আদেশেই রুমে তালা মেরে রাখা হয়েছে।
এদিকে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আলী আহমদ অশ্রুসিক্ত হয়ে করোজোড়ে সাংবাদিকদের বলেন, একজন সহকারী শিক্ষক গুলশানারা প্রিন্সিপাল হওয়ার প্রক্রিয়া ভঙ্গ করে কখনোই প্রিন্সিপাল হতে পারে না। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গুলশানারা জোর করে প্রিন্সিপাল হয়েছেন। তিনি তার শাস্তিরও দাবি জানান।নাছিমা পারভীনকে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করিয়ে স্কুল রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে অনুরোধ করছি।
এদিকে এনটিআরসি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগন যোগদান করতে গেলেও তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন করা হলে তারাও নাছিমা পারভীনের অবদানের কথা তুলে ধরেন এবং তাকে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অতিবো প্রয়োজন বলে মনে করেন ।
এ বিষয়ে গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি, ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানতে চাইলে, নাছিমা পারভীনকে আদালত থেকে সিদ্ধান্ত আনার কথা বলেন।
অধ্যক্ষ নাছিমা পারভীনের দাবি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গুলশানারা আ.লীগের দোসর, টাকা পয়সা দিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও গভর্নিং বোর্ডের সদস্যদের আয়ত্তে এনে একজন মেধাবী,দক্ষ, সৎ, আদর্শবান ন্যায়পরায়ন, অধ্যক্ষ নাছিমা পারভীনকে অপসারনের অপচেষ্টা করছেন। এ অসৎ খেলায় তিনি সফল হবেন না, হয়তো একটু সময় লাগবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আলী আহমদ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষকে স্বপদে যোগদানে বাধা 

আপডেট সময় ১১:৪৫:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন গোড়ানে অবস্থিত আলী আহমদ স্কুল এন্ড কলেজের ছুটিতে থাকা অধ্যক্ষ নাছিমা পারভীন স্বপদে যোগদান করতে গেলে বাধা প্রদান করে এক অদৃশ্য শক্তি। এ নিয়ে দু-পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ৬ এপ্রিল রবিবার রাজধানীর খিলগাঁও থানার গোড়ানে আলী আহমদ স্কুল এন্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সরে জমিনে যায় সংবাদ কর্মীরা। জানা যায়, ২০১৬ সালে ১লা ফেব্রুয়ারী আলী আহমদ স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন নাছিমা পারভীন । ২০২৩ সালে একটি অদৃশ্যচক্র তার নামে মিথ্যা, বানোয়াট হিসেব দেখিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আনে। পরে তিনি (নাছিমা পারভীন) আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে স্বপদে বহাল থাকেন। ২০২৩ সালে অদৃশ্য চক্রটি আইনি লড়াইয়ে জিততে না পেরে, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর তার সাঙ্গ পাঙ্গদের নিয়ে তাদের কুট কৌশল বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করে। তারই ধারাবাহিকতায় গভর্নিং বডির সদস্যদের সাথে আঁতাত করে ২১শে আগস্ট ২০২৪ তাকে কলেজ থেকে বহিস্কার করার অপচেষ্টা চালান। পরিস্থিতির শিকার হয়ে তিনি পদত্যাগ না করে ছুটিতে চলে যান। ছুটি শেষে তিনি স্বপদে যোগদান করতে গেলে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গুলশানারা অধ্যক্ষের রুমের চাবি দিতে অস্বীকার করেন। তিনি জানান গভর্নিং বোর্ডের সভাপতির আদেশেই রুমে তালা মেরে রাখা হয়েছে।
এদিকে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আলী আহমদ অশ্রুসিক্ত হয়ে করোজোড়ে সাংবাদিকদের বলেন, একজন সহকারী শিক্ষক গুলশানারা প্রিন্সিপাল হওয়ার প্রক্রিয়া ভঙ্গ করে কখনোই প্রিন্সিপাল হতে পারে না। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গুলশানারা জোর করে প্রিন্সিপাল হয়েছেন। তিনি তার শাস্তিরও দাবি জানান।নাছিমা পারভীনকে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করিয়ে স্কুল রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে অনুরোধ করছি।
এদিকে এনটিআরসি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগন যোগদান করতে গেলেও তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন করা হলে তারাও নাছিমা পারভীনের অবদানের কথা তুলে ধরেন এবং তাকে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অতিবো প্রয়োজন বলে মনে করেন ।
এ বিষয়ে গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি, ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানতে চাইলে, নাছিমা পারভীনকে আদালত থেকে সিদ্ধান্ত আনার কথা বলেন।
অধ্যক্ষ নাছিমা পারভীনের দাবি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গুলশানারা আ.লীগের দোসর, টাকা পয়সা দিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও গভর্নিং বোর্ডের সদস্যদের আয়ত্তে এনে একজন মেধাবী,দক্ষ, সৎ, আদর্শবান ন্যায়পরায়ন, অধ্যক্ষ নাছিমা পারভীনকে অপসারনের অপচেষ্টা করছেন। এ অসৎ খেলায় তিনি সফল হবেন না, হয়তো একটু সময় লাগবে।