সোমবার (৭ এপ্রিল) আসরের নামাজের পর মালুমঘাট বাজার চত্বরে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তৌহিদি জনতা।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মালুমঘাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুল আমিন,
মদিনাতুল উলুম চা বাগান মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মেজবাহ উদ্দিন ,ও মাওলানা আমান উল্লাহ কুতুবী সহ হাজারও জনতা উপস্থিত ছিলেন।
আমান উল্লাহ কুতুবী বলেন, ফিলিস্তিন হল মুসলমানদের প্রথম কেবলা তাই ফিলিস্তিনের গণহত্যা কোনভাবে মেনে নেওয়া হবে না।কারণ ফিলিস্তিন হলো নবী ও রাসূলের জন্মভূমি।
মাওলানা নুরুল আমিন বলেন, ইসরাইলি পণ্য বর্জন করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।
বক্তারা ফিলিস্তিনের ইতিহাস সম্পর্কে বলেন, ফিলিস্তিন ভূখণ্ড হলো পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতার বাহক। এটাই সেই প্রথম ভূখণ্ড, যেখানে প্রায় খ্রিষ্টপূর্ব ৯ হাজার বছর আগে মানুষ খেত-খামার ও স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করেছিল। পরবর্তী ১ হাজার বছর পরে, খ্রিষ্টপূর্ব ৮ হাজার বছর আগে গড়ে ওঠে ‘আরিহা’ নামক নগরী। আরিহা নগরীর পতনের পর থেকে যুগে যুগে বিভিন্ন জাতি, সম্প্রদায় ও অসংখ্য নবী-রাসুল এই পবিত্র ভূমিতে বাসস্থান গড়ে তুলেছেন।
ফিলিস্তিনে কেনআনি সম্প্রদায় : যতগুলো সম্প্রদায় ফিলিস্তিনে বসবাস করেছে তাদের মধ্যে কেনআনি সম্প্রদায় সর্বাধিক পুরোনো। তাদের স্মৃতিচিহ্ন আজও ফিলিস্তিনে বিদ্যমান। কেনআনি সম্প্রদায় আনুমানিক ৪ হাজার ৫০০ বছর আগে আরব উপদ্বীপ থেকে এ অঞ্চলে আগমন করে। এ কারনে ফিলিস্তিনকে প্রাচীন ইতিহাসে ‘আরদে কেনআন’ বলা হয়।
ফিলিস্তিনে ইয়াবুসি সম্প্রদায় : আরব উপদ্বীপের উত্তর প্রান্ত থেকে দেশত্যাগ করা গোত্রগুলোর মাঝে ‘ইয়াবুসি’ সম্প্রদায়ও ছিল।
আল কুদস নগরী গড়ে ওঠার আগেই এই সম্প্রদায় এখানে বসবাস শুরু করেছিল। এ কারণে ‘আল-কুদস’ নগরীকে তাদের নামের দিকে সম্বন্ধিত করে ‘ইয়াবুস’ ও বলা হতো।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে, মৌলানা আমান উল্লাহ কুতুবী
ফিলিস্তিন মুসলিম শহীদদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করে বলেন, আল্লাহ তুমি ফিলিস্তিনবাসীকে রক্ষা করো। এবং ফিলিস্তিনের মুসলমান এর উপর রহমত নাযিল কর।