পবিত্র ঈদুল ফিতরের পঞ্চম দিনে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। দীর্ঘ ছুটি শেষে আজ সকালে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে লঞ্চযোগে আসা মানুষের চাপ বেড়েছে।
৫ এপ্রিল পুরো চাঁদপুর লঞ্চঘাট এলাকায় উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
ঈদের দীর্ঘ ৯ দিনের ছুটি শেষ হচ্ছে আজ। রোববার প্রথম কর্মদিবস। সে হিসাবে রাজধানীতে ফিরে আসা মানুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীকালও একই ধরনের ভিড় থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
লঞ্চ কর্মীরা বলছেন, গত দু’দিনের চেয়ে আজ ভিড় বেশি। ঢাকায় ফেরা প্রায় সব লঞ্চ যাত্রীদের রেখে আবার বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার উদ্দেশ্য ছেড়ে গেছে। ফলে টার্মিনালে মানুষ জট ও জনদুর্ভোগ লক্ষ্য করা গেছে। টার্মিনাল থেকে নেমে দীর্ঘ পথ হেঁটে যানবাহনে উঠতে হয়েছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিটিএ’র কর্মকর্তা টি আই সুরুজ্জামান বলেন, খুব সকাল থেকে এ পর্যন্ত ৪০ টির বেশি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে গেছে। আজকে আসা প্রায় সব লঞ্চ ঢাকায় যাত্রী রেখে দ্রুত চাঁদপুর টার্মিনাল ত্যাগ করেছে।
তিনি বলেন, লম্বা ছুটি ছিল, এ কারণে মানুষ ধাপে ধাপে ফিরছে। গত দু’দিনের তুলনায় রাজধানীতে ফেরা মানুষের চাপ আজ কিছুটা বেড়েছে।
ঈগল ৩ লঞ্চের কর্মকর্তা আজগর আলি বলেন, বিগত দিনের তুলনায় আজ একটু ভিড় বেশি। লঞ্চে ভিড় এখন তেমন দেখা যায় না। ঈদের আগের দুইদিন এবং ঈদের ছুটির শেষ দুইদিন শুক্রবার ও শনিবার মানুষের চাপ থাকা স্বাভাবিক।
এদিকে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মাহাবুব হোসেন বলেন, ঈদের ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের বহরিয়ায় গিয়েছিলাম। আজ ঢাকায় ফেরা মানুষের বেশ চাপ থাকলেও খুব বেশি বলা যাবে না। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে লঞের যাত্রী কমেছে। তারপরও অতিরিক্ত চাপ থাকায় আমাদের সকাল ৮ টায় টার্মিনালে রেখে লঞ্চটি পুনরায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
বিআইডব্লিটিএ সূত্র জানায়, ঢাকা-বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৪০টি নৌরুটে সরাসরি দিন ও রাত্রিকালীন সার্ভিস মিলিয়ে শতাধিক লঞ্চ ঢাকা চাঁদপুর -বরিশাল-ঝালকাঠি-পটুয়াখালী-বরগুনা-ভোলা রুটে সরাসরি যাতায়াত করছে। তবে বিশেষ লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনা করে চলাচল করে। সাধারণ সময়ে লঞ্চগুলো বাই রোটেশন তালিকা অনুসারে চলাচল করে বলে জানা গেছে।
এদিকে চাঁদপুরের ভিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা (পোর্ট অফিসার) মোহাম্মদ বাশির আলী খান জানান ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের নৌপথে চলাচলে কোন বিরম্বনা এবং সমস্যায় পড়তে না হয় আমরা দিনরাত লঞ্চ টার্মিনাল সহ নৌপথে আমাদের তদারকি বাড়িয়েছি, এবং লঞ্চগুলোকে সতর্ক করেছি যেন যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বেশি আদায় না করে।