ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামায় অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পবিপ্রবির বাসে নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে কর্মকর্তাদের অসদাচরণ লক্ষ্মীপুরে প্রতিপক্ষের গুলিতে মাদক কারবারি আহত, গ্রেপ্তার ২ পবিপ্রবিতে কৃষি গুচ্ছের ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা সদরে কুশখালী আওয়ামীলীগের দুই নেতা আটক আত্রাইয়ে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে তরুণীর আত্মহত্যা যুগল প্রেমিক গ্রেপ্তার মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে উত্তাল ঢাকা শহরের রাজপথ প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে সাইকেল নিয়ে অন্নপূর্ণা জয় জাবির তোজাম্মেলের নিছা সানবি মডেল একাডেমি বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত বেরোবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

সাংবাদিক লাকীর সঙ্গে প্রতারণা ও হুমকি

খুলনার পঙ্গু হাসপাতালে ওষুধের দোকানের মালিক আলমগীর হোসেন (পিতা: আব্দুস শুকুর গাজী, ঠিকানা: হাজী মোহাম্মদ মহাসিন রোড, খুলনা সদর থানা) এবং তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক কারবারী, নারী কেলেঙ্কারি এবং সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী নাহিদা আক্তার লাকীকে আলমগীর হোসেন অসৎ উদ্দেশ্যে কু-প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়, তাকে নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হয় এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়।

এর আগে, আলমগীর হোসেন ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার জাহিদুল ইসলাম সোহেল, নেতাই বাবুর কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের জন্য নাহিদা আক্তার লাকীর সাহায্য চান। আইনগতভাবে সঠিক পন্থায় নেতাই বাবুর সম্পত্তি নিলামের মাধ্যমে পাওনা টাকা আদায়ে সহায়তা করেন লাকী। কিন্তু পরবর্তীতে সোহেল ও আলমগীর হোসেন লাকীর সঙ্গে প্রতারণা করেন এবং তার ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানান।

পরিস্থিতি আরও জটিল হয় যখন খুলনা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এসআই শাহ আলমের নেতৃত্বে নাহিদা আক্তার লাকীকে থানায় ডেকে জোরপূর্বক একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়, যেখানে নেতাই বাবুর দলিল ফেরত দেওয়ার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। লাকী এই অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে উপ-পুলিশ কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

প্রাণনাশের হুমকি ও সামাজিক সম্মানহানির চেষ্টা করায় গত ১৭/০৩/২৫ তারিখে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনার, খুলনা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে লাকী বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ফোন নাম্বার থেকেও নানান কৌশলে হুমকি পেতে থাকেন। তাকে বাধ্য করা হয় যেন তিনি কোনো অভিযোগ দায়ের না করেন এবং তাদের দাবির বিরুদ্ধে না যান। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে, নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি সংবাদকর্মীদের সামনে নেতাই বাবুর দলিল ফেরত দিতে বাধ্য হন।
অপরদিকে লাকী খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতি নিয়ে “এল.কে. সমাজ কল্যাণ যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন” নামে একটি সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা পরিচালনা করছিলেন এবং রূপসা বালির মাঠে একটি অনুমোদিত মেলার আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু সেই মেলায় আলমগীর হোসেন, জাহিদুল ইসলাম সোহেল ও তাদের সহযোগীরা মেলার আয়োজকদের কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং ৫০ হাজার টাকা আদায় করে। অথচ তাদের এ মেলার সঙ্গে কোনো সম্পর্কই ছিল না।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও শাস্তির দাবি
এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি এবং নারী নির্যাতনের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। লাকীর সামাজিক সম্মানহানি, বিভিন্ন ফোন নাম্বার থেকে ও বিভিন্ন ভাবে,হুমকি এবং মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার মাধ্যমে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এ মর্মে, সাংবাদিক নাহিদা আক্তার লাকী দুর্নীতিবাজ আলমগীর হোসেন, জাহিদুল ইসলাম সোহেল এবং তাদের সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সমাজে শিশু ও নারী নির্যাতনের ঘটনা বন্ধ হবে না। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি, তারা যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনেন।
সাংবাদিক সমাজ ও মানবাধিকার কর্মীরা নাহিদা আক্তার লাকীর পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।”

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লামায় অবৈধ ইটভাটায় অভিযান

সাংবাদিক লাকীর সঙ্গে প্রতারণা ও হুমকি

আপডেট সময় ১২:৫০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫

খুলনার পঙ্গু হাসপাতালে ওষুধের দোকানের মালিক আলমগীর হোসেন (পিতা: আব্দুস শুকুর গাজী, ঠিকানা: হাজী মোহাম্মদ মহাসিন রোড, খুলনা সদর থানা) এবং তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক কারবারী, নারী কেলেঙ্কারি এবং সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী নাহিদা আক্তার লাকীকে আলমগীর হোসেন অসৎ উদ্দেশ্যে কু-প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়, তাকে নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হয় এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়।

এর আগে, আলমগীর হোসেন ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার জাহিদুল ইসলাম সোহেল, নেতাই বাবুর কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের জন্য নাহিদা আক্তার লাকীর সাহায্য চান। আইনগতভাবে সঠিক পন্থায় নেতাই বাবুর সম্পত্তি নিলামের মাধ্যমে পাওনা টাকা আদায়ে সহায়তা করেন লাকী। কিন্তু পরবর্তীতে সোহেল ও আলমগীর হোসেন লাকীর সঙ্গে প্রতারণা করেন এবং তার ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানান।

পরিস্থিতি আরও জটিল হয় যখন খুলনা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এসআই শাহ আলমের নেতৃত্বে নাহিদা আক্তার লাকীকে থানায় ডেকে জোরপূর্বক একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়, যেখানে নেতাই বাবুর দলিল ফেরত দেওয়ার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। লাকী এই অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে উপ-পুলিশ কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

প্রাণনাশের হুমকি ও সামাজিক সম্মানহানির চেষ্টা করায় গত ১৭/০৩/২৫ তারিখে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনার, খুলনা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে লাকী বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ফোন নাম্বার থেকেও নানান কৌশলে হুমকি পেতে থাকেন। তাকে বাধ্য করা হয় যেন তিনি কোনো অভিযোগ দায়ের না করেন এবং তাদের দাবির বিরুদ্ধে না যান। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে, নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি সংবাদকর্মীদের সামনে নেতাই বাবুর দলিল ফেরত দিতে বাধ্য হন।
অপরদিকে লাকী খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতি নিয়ে “এল.কে. সমাজ কল্যাণ যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন” নামে একটি সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা পরিচালনা করছিলেন এবং রূপসা বালির মাঠে একটি অনুমোদিত মেলার আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু সেই মেলায় আলমগীর হোসেন, জাহিদুল ইসলাম সোহেল ও তাদের সহযোগীরা মেলার আয়োজকদের কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং ৫০ হাজার টাকা আদায় করে। অথচ তাদের এ মেলার সঙ্গে কোনো সম্পর্কই ছিল না।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও শাস্তির দাবি
এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি এবং নারী নির্যাতনের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। লাকীর সামাজিক সম্মানহানি, বিভিন্ন ফোন নাম্বার থেকে ও বিভিন্ন ভাবে,হুমকি এবং মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার মাধ্যমে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এ মর্মে, সাংবাদিক নাহিদা আক্তার লাকী দুর্নীতিবাজ আলমগীর হোসেন, জাহিদুল ইসলাম সোহেল এবং তাদের সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সমাজে শিশু ও নারী নির্যাতনের ঘটনা বন্ধ হবে না। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি, তারা যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনেন।
সাংবাদিক সমাজ ও মানবাধিকার কর্মীরা নাহিদা আক্তার লাকীর পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।”