ঢাকা ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

জাপান ম্যাচের আগে কেন ‘মুখ লুকালো’ জার্মান দল?

নিজেদের পঞ্চম বিশ্বকাপের যাত্রা আজ শুরু করল জার্মানি। তবে ম্যাচ শুরুর পরই ভিন্ন এক কারণে শিরোনামে এলো দলটি। চার বারের চ্যাম্পিয়নরা আজ যখন জাপানের মুখোমুখি হলো, তার আগের ফটোসেশনে করল অদ্ভুত এক কাণ্ড। দলীয় সেই ফটোসেশনে হাত দিয়ে মুখ লুকালেন সবাই!

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে এমন কাণ্ড করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার জন্মই দিয়ে বসেছে জার্মান জাতীয় দল। কেন এমন কাজ করল জার্মানি, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

এমনিতে ফিফার আর্মব্যান্ডেও ঐক্য আর সমতার কথা বলা হয়েছে। প্রতি রাউন্ডে বদলে যাবে এই ব্যান্ডের স্লোগান। সঙ্গে একটা নিয়মও বেঁধে দিয়েছে। এই বাহুবন্ধনীর বাইরে কিছু পরলে তাকে দেখানো হবে হলুদ কার্ড, মাঠে নামার আগেই!

এখন বিশ্বকাপে দুই ম্যাচে যদি হলুদ কার্ড দেখেন কেউ, পরের ম্যাচে তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষিদ্ধ হয়ে যাবেন তিনি। ওয়ান লাভ ব্যান্ড পরে মাঠে নেমে হলুদ কার্ড দেখলে অধিনায়ককে ছাড়াই শেষ গ্রুপ ম্যাচে মাঠে নামতে হতে পারে দলগুলোকে।

ফটোসেশনে থমাস মুলার-ম্যানুয়েল নয়্যাররা মুখ লুকানো যে ‘ওয়ান লাভ’ ব্যান্ড পরতে না দেওয়ার জন্যেই, সেটা নিশ্চিত করা হলো জার্মান দলের এক বিবৃতিতে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘আমাদের জার্মান জাতীয় দল যে বৈচিত্র্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার মূল্যবোধ ধারণ করে, তাত পাশে দাঁড়াতে আমরা আমাদের অধিনায়কের বাহুবন্ধনিটাকে ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। অন্য সব দেশের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা আওয়াজ তুলতে চেয়েছিলাম।’

‘বিষয়টা কোনো রাজনৈতিক বিবৃতি গোছের কিছু ছিল না; বিষয়টা মানবাধিকারের, আর এই বিষয়টা মোটে ছাড় দেওয়ার মতো কোনো বিষয় নয়। বিষয়টা সাধারণ একটা বিষয় হিসেবেই দেখা উচিত, কিন্তু বাস্তবে এখনো সেভাবে দেখা হচ্ছে না। সে কারণে এই বার্তাটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

‘আমাদেরকে আমাদের ইচ্ছেমতো বাহুবন্ধনি পরতে না দিয়ে আমাদের বাকস্বাধীনতায় বাগড়া দেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের অবস্থানে অটল আছি।’

এমন বিবৃতির পর জার্মান দলের ওপর ফিফার কোনো খড়্গ এসে পড়ে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

জাপান ম্যাচের আগে কেন ‘মুখ লুকালো’ জার্মান দল?

আপডেট সময় ০৮:১০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

নিজেদের পঞ্চম বিশ্বকাপের যাত্রা আজ শুরু করল জার্মানি। তবে ম্যাচ শুরুর পরই ভিন্ন এক কারণে শিরোনামে এলো দলটি। চার বারের চ্যাম্পিয়নরা আজ যখন জাপানের মুখোমুখি হলো, তার আগের ফটোসেশনে করল অদ্ভুত এক কাণ্ড। দলীয় সেই ফটোসেশনে হাত দিয়ে মুখ লুকালেন সবাই!

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে এমন কাণ্ড করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার জন্মই দিয়ে বসেছে জার্মান জাতীয় দল। কেন এমন কাজ করল জার্মানি, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

এমনিতে ফিফার আর্মব্যান্ডেও ঐক্য আর সমতার কথা বলা হয়েছে। প্রতি রাউন্ডে বদলে যাবে এই ব্যান্ডের স্লোগান। সঙ্গে একটা নিয়মও বেঁধে দিয়েছে। এই বাহুবন্ধনীর বাইরে কিছু পরলে তাকে দেখানো হবে হলুদ কার্ড, মাঠে নামার আগেই!

এখন বিশ্বকাপে দুই ম্যাচে যদি হলুদ কার্ড দেখেন কেউ, পরের ম্যাচে তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষিদ্ধ হয়ে যাবেন তিনি। ওয়ান লাভ ব্যান্ড পরে মাঠে নেমে হলুদ কার্ড দেখলে অধিনায়ককে ছাড়াই শেষ গ্রুপ ম্যাচে মাঠে নামতে হতে পারে দলগুলোকে।

ফটোসেশনে থমাস মুলার-ম্যানুয়েল নয়্যাররা মুখ লুকানো যে ‘ওয়ান লাভ’ ব্যান্ড পরতে না দেওয়ার জন্যেই, সেটা নিশ্চিত করা হলো জার্মান দলের এক বিবৃতিতে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘আমাদের জার্মান জাতীয় দল যে বৈচিত্র্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার মূল্যবোধ ধারণ করে, তাত পাশে দাঁড়াতে আমরা আমাদের অধিনায়কের বাহুবন্ধনিটাকে ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। অন্য সব দেশের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা আওয়াজ তুলতে চেয়েছিলাম।’

‘বিষয়টা কোনো রাজনৈতিক বিবৃতি গোছের কিছু ছিল না; বিষয়টা মানবাধিকারের, আর এই বিষয়টা মোটে ছাড় দেওয়ার মতো কোনো বিষয় নয়। বিষয়টা সাধারণ একটা বিষয় হিসেবেই দেখা উচিত, কিন্তু বাস্তবে এখনো সেভাবে দেখা হচ্ছে না। সে কারণে এই বার্তাটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

‘আমাদেরকে আমাদের ইচ্ছেমতো বাহুবন্ধনি পরতে না দিয়ে আমাদের বাকস্বাধীনতায় বাগড়া দেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের অবস্থানে অটল আছি।’

এমন বিবৃতির পর জার্মান দলের ওপর ফিফার কোনো খড়্গ এসে পড়ে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।