ঢাকা ১২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

জঙ্গি বিএনপির সৃষ্টি, হাওয়া ভবনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল: হানিফ

আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, দুই জঙ্গিকে আদালত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। বিএনপির মহাসচিব ফখরুল খুব খুঁচিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

হানিফ বলেন, বিএনপি এ দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানিয়েছে। শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলা ভাইসহ অজস্র জঙ্গি সংগঠন আপনারা বানিয়েছেন। দেশকে জঙ্গিদের চারণভূমি বানিয়েছেন। সে সময়টাতে এখন আপনারা ফিরে যেতে চান। বাংলাদেশের মানুষ এ দেশকে আর ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় না। জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় না।

তিনি বলেন, তারেক রহমান এখন বিএনপির আদর্শিক নেতা। তারেক দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এখন পলাতক। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে হত্যা, খুন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টির একাধিক মামলা রয়েছে। ২০০৪ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য তিনি গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলেন।

হানিফ বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তারেক রহমান এশিয়া মহাদেশের মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে দুবাইতে বৈঠকে বসেছিলেন, সেই ছবি আছে। তারেক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের জনক। তিনি যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন, এ দেশকে জঙ্গিবাদের চারণভূমি বানাবেন। এ দেশ তালেবান-জঙ্গিবাদের দেশ হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছি। এই কারণে কোনো আন্দোলন দিয়ে আমাদের দমানো যাবে না। এর শেকড় বাংলার মাটির অনেক গভীরে। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল। এই দলকে বিএনপি বা অন্য কোনো অপশক্তি পতন ঘটাতে পারবে না। আপনারা ঐক্যবদ্ধ ঐক্যবদ্ধ থাকুন। আগামী সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।

বিএনপির উদ্দেশে হানিফ বলেন, বলেন, আপনারা (বিএনপি) রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন। আপনাদের কী অর্জন ছিল? ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আপনাদের অর্জন কিছুই নেই। দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে শীর্ষ রাস্ট্র বানিয়েছেন। তারেক রহমান  দুর্নীতি ও সন্ত্রাস করে এ দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। তাদের সময় এদেশের অর্থনীতিতে ধস নামে। তখন বাংলাদেশের ছিল চরম ব্যর্থ ও দরিদ্র দেশ। মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলারের নিচে। আপনারা এখন দেশকে সে সময়ে নিয়ে যেতে চান।

বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনপ্রিয়তা আছে কি না, তা যাচাই করার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিন। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। সংবিধানের মধ্যে থেকে আপনাদের নির্বাচনে আসতে হবে। আপনাদের স্বাগত জানাব। আর সংবিধানের বাইরে গিয়ে যদি আপনারা নির্বাচনের বাহিরে থাকেন, সে দায়ভার আপনাদের। আসুন, আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রমাণ হয়ে যাবে এ দেশের মানুষ কাদের পক্ষে। একটি জরিপে দেখা গেছে, শেখ হাসিনার ৮০ শতাংশ জনপ্রিয়তা আছে। ইনশাআল্লাহ আমরা আগামী নির্বাচনে আবারও জয়ী হব।

বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, দেশে দুই ধারার রাজনীতি চলছে। একটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, যার হাত ধরে দেশ অন্ধকার থেকে আলোতে এসেছে। আরেকটি ৭১ এর পরাজিত শক্তি। রাজাকার, আলবদর, ৭৫ এর খুনি ও তাদের দোসর বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে অপশক্তি।

যারা দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। এ দেশকে তারা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।  হানিফ বলেন, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে উন্নত করছি। আর বিএনপি-জামায়াত দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের স্লোগান- টেক ব্যাক বাংলাদেশ। এর মানে দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

জঙ্গি বিএনপির সৃষ্টি, হাওয়া ভবনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল: হানিফ

আপডেট সময় ০১:০৭:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, দুই জঙ্গিকে আদালত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। বিএনপির মহাসচিব ফখরুল খুব খুঁচিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

হানিফ বলেন, বিএনপি এ দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানিয়েছে। শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলা ভাইসহ অজস্র জঙ্গি সংগঠন আপনারা বানিয়েছেন। দেশকে জঙ্গিদের চারণভূমি বানিয়েছেন। সে সময়টাতে এখন আপনারা ফিরে যেতে চান। বাংলাদেশের মানুষ এ দেশকে আর ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় না। জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় না।

তিনি বলেন, তারেক রহমান এখন বিএনপির আদর্শিক নেতা। তারেক দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এখন পলাতক। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে হত্যা, খুন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টির একাধিক মামলা রয়েছে। ২০০৪ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য তিনি গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলেন।

হানিফ বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তারেক রহমান এশিয়া মহাদেশের মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে দুবাইতে বৈঠকে বসেছিলেন, সেই ছবি আছে। তারেক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের জনক। তিনি যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন, এ দেশকে জঙ্গিবাদের চারণভূমি বানাবেন। এ দেশ তালেবান-জঙ্গিবাদের দেশ হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছি। এই কারণে কোনো আন্দোলন দিয়ে আমাদের দমানো যাবে না। এর শেকড় বাংলার মাটির অনেক গভীরে। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল। এই দলকে বিএনপি বা অন্য কোনো অপশক্তি পতন ঘটাতে পারবে না। আপনারা ঐক্যবদ্ধ ঐক্যবদ্ধ থাকুন। আগামী সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।

বিএনপির উদ্দেশে হানিফ বলেন, বলেন, আপনারা (বিএনপি) রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন। আপনাদের কী অর্জন ছিল? ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আপনাদের অর্জন কিছুই নেই। দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে শীর্ষ রাস্ট্র বানিয়েছেন। তারেক রহমান  দুর্নীতি ও সন্ত্রাস করে এ দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। তাদের সময় এদেশের অর্থনীতিতে ধস নামে। তখন বাংলাদেশের ছিল চরম ব্যর্থ ও দরিদ্র দেশ। মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলারের নিচে। আপনারা এখন দেশকে সে সময়ে নিয়ে যেতে চান।

বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনপ্রিয়তা আছে কি না, তা যাচাই করার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিন। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। সংবিধানের মধ্যে থেকে আপনাদের নির্বাচনে আসতে হবে। আপনাদের স্বাগত জানাব। আর সংবিধানের বাইরে গিয়ে যদি আপনারা নির্বাচনের বাহিরে থাকেন, সে দায়ভার আপনাদের। আসুন, আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রমাণ হয়ে যাবে এ দেশের মানুষ কাদের পক্ষে। একটি জরিপে দেখা গেছে, শেখ হাসিনার ৮০ শতাংশ জনপ্রিয়তা আছে। ইনশাআল্লাহ আমরা আগামী নির্বাচনে আবারও জয়ী হব।

বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, দেশে দুই ধারার রাজনীতি চলছে। একটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, যার হাত ধরে দেশ অন্ধকার থেকে আলোতে এসেছে। আরেকটি ৭১ এর পরাজিত শক্তি। রাজাকার, আলবদর, ৭৫ এর খুনি ও তাদের দোসর বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে অপশক্তি।

যারা দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। এ দেশকে তারা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।  হানিফ বলেন, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে উন্নত করছি। আর বিএনপি-জামায়াত দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের স্লোগান- টেক ব্যাক বাংলাদেশ। এর মানে দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া।