কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগটি ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে উপজেলায় এ বিভাগের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। একই সঙ্গে ১১ টি ইউনিয়নের শুধুমাত্র ৫টি ইউনিয়নে আছে ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। এমনটাই জানান উপজেলার বাইশগাও ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা কামরুন নাহার। উপজেলাটি ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মা ও শিশু, এবং ২৪ ঘন্টা নরমাল ডেলিভারী ও স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসেন কুমিল্লার একসময়ের জলা- অঞ্চল খেতাবপ্রাপ্ত মনোহরগঞ্জের মফস্বল এলাকার জনসাধারণ, এই এলাকাটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ হওয়ায়, চিকিৎসা সেবানিতে মানুষের ভরসার একমাত্র কেন্দ্রস্থল, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো।
সম্প্রতি বাঁইশগাও ইউনিয়নে পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসেন একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাহমিনা বেগম সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের সেবা প্রত্যাশীগন তারা উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নাসিমা আক্তার এর কাছে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ নিতে আসলে হাসপাতাল টি বন্ধ পান এবং আশেপাশে জিজ্ঞেস করেন ডাক্তার কই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,
ওই চিকিৎসক পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে রোগী দেখছেন। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করলে একই ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা কামরুন নাহার বলেন, আমাদের মনোহরগঞ্জ উপজেলায় চিকিৎসক এবং পরিদর্শীকা ও জনবল সংকট রয়েছে,
এজন্য আমাদের পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নেও সেবা দিতে হয়। একই সাথে আমাদের এখানে আয়া, পিয়ন, নৈশ প্রহরী,নেই। এজন্য হাসপাতাল সহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাসপাতালের সেবানিতে আসা জনসাধারণের।
১১ টি ইউনিয়নে পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে ৫টি
এগুলো হলো ঝলম উত্তর, ঝলম দক্ষিণ, হাসনাবাদ, বাঁইশগাও এবং খিলা ইউনিয়ন পরিবার কল্যান কেন্দ্র। পর্যাপ্ত পরিমাণ জনবল না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে কেন্দ্রগুলো তে। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নবজাতক সহ শিশু-কিশোরদের।
এ সমস্যা উত্তরণে, মনোহরগঞ্জ উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ১১ টি ইউনিয়নের দায়িত্ব রত পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের
উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. রুবিদাস কে একাধিক বার ফোন করলে তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কোন তথ্য দেন নাই সেজন্য কুমিল্লা জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক স্বপন কুমার শর্মার সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়, এবং তিনি এ বিষয়টি দেখছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান।