উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় আগামী তিন দিন দেশের তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়ার ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সামান্য হ্রাস পেতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এ ছাড়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা কমবে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের বাকি সময়ে দেশের দু-একটি জায়গা বাদে কোথাও কোথাও শৈত্যপ্রবাহের তাপমাত্রা থাকার সম্ভাবনা কম। রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় হালকা শীত থাকতে পারে। আগামী মাস, অর্থাৎ নতুন বছরের শুরুটা দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ দিয়ে শুরু হতে পারে। জানুয়ারির বেশির ভাগ সময় দেশের কোথাও না কোথাও শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সাগর থেকে কিছুটা মেঘ দেশের ভেতরে প্রবেশ করছে। এ কারণে সামগ্রিকভাবে শীতল বাতাস কম আসছে। চলতি মাসের বাকিটা সময় দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দু-একটি জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ থেকে কুয়াশা পড়া শুরু করতে পারে। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।