আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সারাদেশ জুড়ে তার নিজস্ব কিছু লোক ছিল, যারা ছিল তার আস্থাভাজন, তাদের মধ্যে অন্যতম অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা। জুলাই ২০২৪ থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত ছাত্র জনতাকে দমন-পীড়ন ও হত্যার উদ্দেশ্যে গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রসহ সে ছিল সক্রিয়। তার নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী লীগের প্রায় শ’খানেক সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী ছিল। তার ডান হাত ছিল মাসুদ রেজা ও সোহেল আহেম্মদ এবং রিপন যারা ছাত্র-জনতার হত্যাকারীর আসামী। অদৃশ্য শক্তির ইশারায় ছাত্র হত্যার মামলার আসামী হওয়া থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে এখনও পর্যন্ত গোলাম মোস্তফাকে আসামী করা হয় নাই। লোক মারফত জানা যায় এ বিষয়ে থানা কর্তৃপক্ষের সাথে মোস্তফার নাকি বড় ধরণের রফা-দফা হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরার আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর সামনে অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা বিভিন্ন কু-কৌশল অবলম্বন করে চাঁদাবাজি করে আসছে এই মর্মে অভিযোগ উঠেছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে জনৈক এক ব্যক্তি জানান, ৫১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শরিফুল ইসলাম শরীফ এর নাম ভাঙ্গিয়ে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে চাঁদাবাজি করে আসছিল অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি। বর্তমানে ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পরেও চাঁদাবাজ গোলাম মোস্তফা সু-কৌশলে পূর্বের মত চাঁদাবাজি করে আসছে তার মনোনীত লোকের মাধ্যমে। এই গোলাম মোস্তফা বিভিন্ন বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে মিশে নিজেকে বিএনপির সমর্থককারী হিসেবে পরিচিত করাবার অপচেষ্টা করে আসছে।
মূলত অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হলেও গোলাম মোস্তফা চাঁদাবাজি করে এসেছেন নিজের মতো করে। যদি কোন ব্যক্তি অ্যাম্বুলেন্স সমিতির সদস্য পদ লাভ করতে চান তাহলে তাকে দশ হাজার টাকা হতে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ দিতে হয়। অ্যাম্বুলেন্স সমিতিতে একটি প্রচলন রয়েছে লটারির ড্র বাধ্যতামূলক। উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ সকল অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস গোলাম মোস্তফার আওতায়। কেউ যদি তার কাছে কিছু জানতে চান তাহলে তিনি তার সার্ভিস বন্ধ করে দেন। নিজের স্বেচ্ছাচারিতা অনিয়ম দুর্নীতি ঢাকতে গোলাম মোস্তফা একটি বিশেষ বাহিনী পরিচালনা করেন। অভিযোগের বিষয়ে, আমরা বারবার তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করেননি এবং আমাদের ফোনও রিসিভ করেননি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল হাসপাতালের ফ্যাসিস্ট সরকারের সমর্থনকারী অনেক ডাক্তার ফার্মাসিস্ট এবং হাসপাতালের বিভিন্ন সাপ্লাইয়ারদের পরিবর্তন হলেও দিব্বি বহল তবিয়তে এখনও আওয়ামী লীগের দোসর শেখ হাসিনার আস্থাভাজন মোস্তফা রয়েছে সকলের নাকের ডগায়। অত্যন্ত চালাক এবং চতুর মোস্তফার নিকট অনেক ভুক্তভোগিরা নগদ অর্থসহ অনেক কিছু পাবে। যা বিগত দিনে তাদের নিকট থেকে আওয়ামী লীগের ভয় দেখিয়ে অবৈধভাবে আত্মসাত করেছে বলে জানা যায় মোস্তফা। ব্যারিস্টার লোপা নামে জনৈক মহিলা প্রতারক মোস্তফার কাছে ১৯ লাখ টাকা পাবে বলে জানা যায়। যা নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা রয়েছে। ইতিমধ্যে তার অত্যাচার, চাঁদাবাজি এবং ষড়যন্ত্রের নীল নকশায় মানুষ অতীষ্ট হয়ে তার বিরুদ্ধে পোষ্টার ছাপিয়ে সকলকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে উত্তরা জুড়ে দেয়ালে দেয়ালে লাগিয়েছে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসী খুনী চাঁদাবাজদের স্থান হবে না, সবাই আসবে আইনের আওতায় এমনটাই প্রত্যাশা সবার। আগে সোনার বাংলা, পরে অন্যসব, সাধু সাধু সাবধান।