ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. ইউনূসকে বিএনপি নেতা উপদেষ্টাদের মধ্যে আওয়ামী দোসরদের বের করে জেলে দিন নান্দিনা ব্রীজের নির্মাণকাজ দেখে বোঝা যায়, এটি চরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার প্রতীক। বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকেও বেতন তোলেন প্রধান শিক্ষক লোহাগাড়ায় সাংবাদিক পিটিয়ে থানায় খোশগল্পে আ. লীগ নেতা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে শিশুর খর্বকায় বেশি, প্রতিরোধে জৈব কৃষির গুরুত্ব নিয়ে ক্যাম্পেইন গোয়াইনঘাটে প্রশাসনের উদ্যোগে ৩দিন ব্যাপী জাফলং-পিয়াইন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন পূর্বের নাম ফিরে পেল সৈয়দ সঈদ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ, মাধবপুরে আনন্দের জোয়ার সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা এক মাসে সেবার মান না বাড়লে বিআরটিএর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের ৬৪ কোটি ডলার ঋণ ছাড় ১০ ফেব্রুয়ারি

লোহাগাড়ায় সাংবাদিক পিটিয়ে থানায় খোশগল্পে আ. লীগ নেতা

বিচারপ্রার্থীকে মারধরের প্রতিবাদ করায় লোহাগাড়ায় একজন সাংবাদিক ও একজন শিক্ষার্থীর উপর হামলা করেছে ইউপি সদস্য ও তার ক্যাডাররা। ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুরে উপজেলার কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বকোণের সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক মাসুম (২৮) ও আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. শহিদ (২৫)। এরমধ্যে শহিদের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
আ লীগ নেতা ও ইউপি সদস্যের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে তিনি তখন থানায় অবস্থান করছেন এবং পরে কথা বলবেন বলে জানান। সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে ওই ইউপি সদস্য কীভাবে থানায় গিয়ে খোশগল্পে মাততে পারেন প্রশ্ন তোলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওমর ফারুখ মাসুম। তিনি বলেন, দেশের ২য় স্বাধীনতার পর ফ্যাসিবাদের দোসরদেও এই আস্ফালন মেনে নেয়া যায় না।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদেও ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিব বিচারপ্রার্থী সাত্তার নামের এক লোককে মারধর করে। সেখানে সম্ভবত বিচারপ্রার্থী দুই-পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। আমরা দুইটা মোটরসাইকেল করে ৪ জন লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের দিকে যাচ্ছিলাম। পথে ইউনিয়ন পরিষদের পাশে মসজিদে যোহরের নামাজ আদায় করি। নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা করে। আমি কোনো অপরাধ করিনি, যার কারণে আমি ঠাই দাঁড়িয়ে ছিলাম। যাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে, তারা পালিয়ে গেছে। আমি আর শহিদ দাড়িঁয়ে ছিলাম, তারা আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, যিনি চিকিৎসা দিয়েছেন, তিনি বিস্তারিত জানাতে পারবেন। আমি যতটুকু খবর নিয়ে জেনেছি, আহত মাসুমের নাকে আঘাত আছে। আরেকজন আঘাতপ্রাপ্ত তিনি কয়েকবার বমি করেছেন। বুকে একটু আঘাত আছে। বুমি করেছে যার কারণে সিটি স্ক্যান করতে বলা হয়েছে। সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট পেলে ফাইনাল বলা যাবে।
লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে স্থানীয় বিচার নিয়ে দুই-পক্ষের কথা কাটাকাটির জেরে হামলা করা হয়েছে। সেখানে সাংবাদিক মাসরমসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
এদিকে এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রামস্থ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এস এম রানা ও সেক্রেটারি ওমর ফারুক, লোহাগাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ চৌধুরী ও সেক্রেটারি শাহজাদা মিনহাজ। তারা অবিলম্বে তদন্ত পূর্বক দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ড. ইউনূসকে বিএনপি নেতা উপদেষ্টাদের মধ্যে আওয়ামী দোসরদের বের করে জেলে দিন

লোহাগাড়ায় সাংবাদিক পিটিয়ে থানায় খোশগল্পে আ. লীগ নেতা

আপডেট সময় ০৮:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

বিচারপ্রার্থীকে মারধরের প্রতিবাদ করায় লোহাগাড়ায় একজন সাংবাদিক ও একজন শিক্ষার্থীর উপর হামলা করেছে ইউপি সদস্য ও তার ক্যাডাররা। ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুরে উপজেলার কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বকোণের সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক মাসুম (২৮) ও আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. শহিদ (২৫)। এরমধ্যে শহিদের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
আ লীগ নেতা ও ইউপি সদস্যের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে তিনি তখন থানায় অবস্থান করছেন এবং পরে কথা বলবেন বলে জানান। সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে ওই ইউপি সদস্য কীভাবে থানায় গিয়ে খোশগল্পে মাততে পারেন প্রশ্ন তোলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওমর ফারুখ মাসুম। তিনি বলেন, দেশের ২য় স্বাধীনতার পর ফ্যাসিবাদের দোসরদেও এই আস্ফালন মেনে নেয়া যায় না।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদেও ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিব বিচারপ্রার্থী সাত্তার নামের এক লোককে মারধর করে। সেখানে সম্ভবত বিচারপ্রার্থী দুই-পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। আমরা দুইটা মোটরসাইকেল করে ৪ জন লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের দিকে যাচ্ছিলাম। পথে ইউনিয়ন পরিষদের পাশে মসজিদে যোহরের নামাজ আদায় করি। নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা করে। আমি কোনো অপরাধ করিনি, যার কারণে আমি ঠাই দাঁড়িয়ে ছিলাম। যাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে, তারা পালিয়ে গেছে। আমি আর শহিদ দাড়িঁয়ে ছিলাম, তারা আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, যিনি চিকিৎসা দিয়েছেন, তিনি বিস্তারিত জানাতে পারবেন। আমি যতটুকু খবর নিয়ে জেনেছি, আহত মাসুমের নাকে আঘাত আছে। আরেকজন আঘাতপ্রাপ্ত তিনি কয়েকবার বমি করেছেন। বুকে একটু আঘাত আছে। বুমি করেছে যার কারণে সিটি স্ক্যান করতে বলা হয়েছে। সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট পেলে ফাইনাল বলা যাবে।
লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে স্থানীয় বিচার নিয়ে দুই-পক্ষের কথা কাটাকাটির জেরে হামলা করা হয়েছে। সেখানে সাংবাদিক মাসরমসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
এদিকে এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রামস্থ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এস এম রানা ও সেক্রেটারি ওমর ফারুক, লোহাগাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ চৌধুরী ও সেক্রেটারি শাহজাদা মিনহাজ। তারা অবিলম্বে তদন্ত পূর্বক দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।