ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল ঘিরে এখনও চাঁদাবাজির তান্ডব চালাচ্ছে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন গোলাম মোস্তফা  মিঠাপুকুরে এমপিএইসভিওয়ের ১১তম বর্ষে পদার্পন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মঠবাড়িয়া আসনে লড়তে চান ক্যানাডা প্রবাসী ব্যারিস্টার আলমগীর বৈষম্য নিরসনের দাবিতে ৫ দফা কর্মসূচি ঘোষণা মঠবাড়িয়ার দাউদখালী ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ফসলের সাথে শত্রুতা, ১১ বিঘা আলু গম সরিষা হালচাষ দিয়ে নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ ইসলামী দলগুলোকে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় গেছে আ.লীগ: চরমোনাই পীর উচাই কৃষি কলেজে নবীন-বরণ জাফলং পিয়াইন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২৪ এর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত নাটোরের বড়াইগ্রাম সময় টিভির অফিশিয়াল স্টাফ রিপোর্টার এর বাড়িতে আগুনে লেগে এক শিশুর মৃত্যু

রানীনগরে খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহে সরকারের সাথে চুক্তিতে আসেনি বেশিরভাগ মিলার; চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শঙ্কা

নওগাঁর রাণীনগরে অভ্যন্তরীণ আমন মৌসুমে খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহে সরকারের সাথে চুক্তিতে আসেনি অর্ধেকের বেশি মিলার। ফলে উপজেলায় এবার আমন মৌসুমের চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা খাদ্য বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের গাফিতালি ও তদারকির অভাবে উপজেলার ৬৯ জন মিলারের মধ্যে মাত্র ৩৩ জন মিলার খাদ্যগুদামে চাল দিবেন বলে চুক্তি করেছেন। আর সরকারের সাথে চুক্তিতে আসেনি ৩৬ জন মিলার।

উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় আমন মৌসুমে ৪৭ টাকা কেজি দরে মিলারদের নিকট থেকে ১২৬৯ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যে উপজেলার ৬৯ জন মিলারদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩৩ জন মিলার ৮১২ মেট্রিক টন চাল খাদ্যগুদামে সরবরাহ করার জন্য চুক্তি করেছে। গত ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের দিন থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ মিলারদের কাছ থেকে এখনো এক ছটাকও চাল সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্যবিভাগ। আরও জানা গেছে, উপজেলা জুড়ে ১০০টির উপরে মিল ছিল। এসব মিলের মধ্যে কমতে কমতে বর্তমানে ৬৯টি মিলে এসে দাঁড়িয়েছে।

উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোছা.তারানা আফরীন বলেন, চুক্তিবদ্ধ মিলারদেরকে আমরা চাল দিতে বলেছি। এখন পর্যন্ত খাদ্যগুদামে কেউ চাল দেননি। আমরা সংগ্রহের চেষ্টা করছি।

উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোসাদ্দেক খাঁন বাবলু বলেন, বাজারে ধানের দাম বেশি। এতে করে চাল উৎপাদনে সরকারি দরের চেয়েও বেশি দর পড়ছে। তাই লোকসানের কথা চিন্তা করে অনেকেই চুক্তিতে আসেনি। আর চুক্তিবদ্ধ মিলারদের পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করছি নির্ধারিত সময়ে খাদ্যগুদামে চাল দিতে।

এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমরা চুক্তিবদ্ধ মিলারদেরকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খাদ্যগুদামে চাল দিতে তাগিদ দিয়েছি। এ মৌসুমে অর্ধেকের বেশি মিলার চুক্তিতে আসেনি। আমরা চেষ্টা করেছি তাদের চুক্তিতে নিয়ে আসার। কিন্তু তারা চুক্তি করেননি। এতে করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি ঊদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যেসব মিলার সরকারের সাথে চুক্তিতে আসেনি, তাদের মিলের খোঁজ খবর আমরা সার্বক্ষণিক রাখছি। খাদ্যগুদামে চাল না দিয়ে তারা যদি মিল চালায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল ঘিরে এখনও চাঁদাবাজির তান্ডব চালাচ্ছে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন গোলাম মোস্তফা 

রানীনগরে খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহে সরকারের সাথে চুক্তিতে আসেনি বেশিরভাগ মিলার; চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শঙ্কা

আপডেট সময় ১১:০০:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

নওগাঁর রাণীনগরে অভ্যন্তরীণ আমন মৌসুমে খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহে সরকারের সাথে চুক্তিতে আসেনি অর্ধেকের বেশি মিলার। ফলে উপজেলায় এবার আমন মৌসুমের চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা খাদ্য বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের গাফিতালি ও তদারকির অভাবে উপজেলার ৬৯ জন মিলারের মধ্যে মাত্র ৩৩ জন মিলার খাদ্যগুদামে চাল দিবেন বলে চুক্তি করেছেন। আর সরকারের সাথে চুক্তিতে আসেনি ৩৬ জন মিলার।

উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় আমন মৌসুমে ৪৭ টাকা কেজি দরে মিলারদের নিকট থেকে ১২৬৯ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যে উপজেলার ৬৯ জন মিলারদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩৩ জন মিলার ৮১২ মেট্রিক টন চাল খাদ্যগুদামে সরবরাহ করার জন্য চুক্তি করেছে। গত ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের দিন থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ মিলারদের কাছ থেকে এখনো এক ছটাকও চাল সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্যবিভাগ। আরও জানা গেছে, উপজেলা জুড়ে ১০০টির উপরে মিল ছিল। এসব মিলের মধ্যে কমতে কমতে বর্তমানে ৬৯টি মিলে এসে দাঁড়িয়েছে।

উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোছা.তারানা আফরীন বলেন, চুক্তিবদ্ধ মিলারদেরকে আমরা চাল দিতে বলেছি। এখন পর্যন্ত খাদ্যগুদামে কেউ চাল দেননি। আমরা সংগ্রহের চেষ্টা করছি।

উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোসাদ্দেক খাঁন বাবলু বলেন, বাজারে ধানের দাম বেশি। এতে করে চাল উৎপাদনে সরকারি দরের চেয়েও বেশি দর পড়ছে। তাই লোকসানের কথা চিন্তা করে অনেকেই চুক্তিতে আসেনি। আর চুক্তিবদ্ধ মিলারদের পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করছি নির্ধারিত সময়ে খাদ্যগুদামে চাল দিতে।

এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমরা চুক্তিবদ্ধ মিলারদেরকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খাদ্যগুদামে চাল দিতে তাগিদ দিয়েছি। এ মৌসুমে অর্ধেকের বেশি মিলার চুক্তিতে আসেনি। আমরা চেষ্টা করেছি তাদের চুক্তিতে নিয়ে আসার। কিন্তু তারা চুক্তি করেননি। এতে করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি ঊদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যেসব মিলার সরকারের সাথে চুক্তিতে আসেনি, তাদের মিলের খোঁজ খবর আমরা সার্বক্ষণিক রাখছি। খাদ্যগুদামে চাল না দিয়ে তারা যদি মিল চালায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।