হাড় ক্ষয় প্রধানত বেশি বয়সের রোগ হলেও শিশু-কিশোরদেরও কিছু কিছু সময় হাড় ক্ষয় রোগে ভুগতে দেখা যায়। যা শিশুর বৃদ্ধি, চলা ফেরার সামর্থ্যকে প্রকটভাবে ব্যাহত করতে পারে। অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েদের পড়ে যাওয়া ও হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিও বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে অভিভাবকদের সচেতনতা কম থাকায় এবং চিকিৎসাটি ব্যয়-বহুল হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অনেক সময় পাওয়া যায় না।
মিষ্টি থেকেই সমস্যা
বাচ্চারা মিষ্টির পোকা। তাই তারা মিষ্টি নিয়মিত খায়। আর এই খাবার খায় বলেই তাদের শরীরের হাল বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারণ, মিষ্টি শরীরে প্রদাহ বাড়ায়। যার ফলে হাড়ের ক্ষয় হতে পারে। এমনকি পিছু নিতে পারে অন্যান্য নানাবিধ সমস্যা। তাই অল্প বয়সী ছেলে-মেয়েদের মিষ্টি খেতে দেবেন না। এমনকি আইসক্রিম, ক্যান্ডির থেকেও তাকে দূরে রাখুন। তাতেই মিষ্টির থেকে দূরে থাকতে পারবে সন্তান।
চকোলেট
আপনার সন্তান কি নিয়মিত চকোলেট খায়? তা হলে যে তার হাড়ের ক্ষয় শুরু হতে পারে! কারণ, আমাদের পরিচিত অধিকাংশ চকোলেটেই থাকে ক্যাফিন। আর অত্যধিক ক্যাফিন হাড় থেকে ক্যালসিয়াম বের করে দিতে পারে। যার ফলে পিছু নিতে পারে হাড়ের সমস্যা। শুধু তাই নয়, চকোলেটে ভরপুর পরিমাণে চিনিও মেশানো থাকে। যার জন্য এই খাবার খেলে হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়ে যেতে পারে। তাই ছোট্ট সোনাকে নিয়মিত চকোলেট খেতে দেবেন না।
চিপস থেকে সাবধান
অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি খাবার হলো চিপস। এই খাবার প্রচণ্ড গরম তেলে খুব করে ভাজা হয়। সেইসঙ্গে এতে মেশানো হয় নুন থেকে শুরু করে একাধিক মশলা। এমনকি এতে প্রিজারভেটিভসও মেশানো হয়। আর এই ধরনের উপাদানই শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর থেকে হাড়ের ক্ষয় হতে পারে। সেই সঙ্গে শরীরের পিছু নিতে পারে একাধিক জটিল রোগ। তাই ছোট্ট সোনাকে চিপসের থেকে দূরে রাখুন।
খাসির মাংস
বাচ্চাদের মাঝে মধ্যে পাঁঠার মাংস খাওয়াতেই পারেন। তাতে খুব একটা ক্ষতি নেই। তবে এই মাংস যদি সে নিয়মিত খায়, তাহলে দেহে প্রদাহ বাড়বে। আর ইনফ্লামেশন বাড়লেই হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়ে যেতে পারে। এমনকি পিছু নিতে পারে অন্যান্য রোগ। শুধু তাই নয়, এতে মজুত ফ্যাটের কারসাজিতে ওজন বাড়ে। সেইসঙ্গে কোলেস্টেরল লেভেলও বৃদ্ধি পায়। তাই চেষ্টা করুন ছোট্ট সোনাকে রেড মিট কম খাওয়ানোর।
কী খাওয়াবেন?
বাচ্চার হাড়ের জোর বাড়াতে চাইলে তার ডায়েটে কিছু উপকারী খাবার রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে দুধ, ছানা, দই, মাছ, ডিম ও সোয়াবিনের মতো খাবার খাওয়ান। এর পাশাপাশি তাকে প্রতিদিন মাঠে খেলতে পাঠান। খেলতে না চাইলে সাইকেল চালাতে দিন, সাঁতার কাটতে বলুন। তাতেই সন্তানের হাড়ের জোর বাড়বে। এড়িয়ে চলতে পারবে একাধিক জটিল সমস্যা।