সারা দুনিয়াতে আমেরিকা যে যুদ্ধের জন্য এত টাকা ব্যয় করে এটা আমেরিকার সাধারন নাগরিকেরা কীভাবে গ্রহণকরে জানেন ? তারা কি এই খরচ করাকে পছন্দ করে?
প্রথম কথা হলো – অমেরিকা দেশটি বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ ও অশান্তি করে বেড়ালেও, দেশটির সাধারন জনগন খুবই ভালো। আমেরিকার সাধারন নাগরিক কেউই যুদ্ধ পছন্দ করে না।
যুদ্ধ করার জন্য, আমেরিকার সরকার বারবার জনগনের সমালোচনার মুখে পড়ে।
দ্বিতীয় কথা – যুদ্ধ বলতে আমরা যে ধংশ অথবা ক্ষয়ক্ষতি বুঝি, সেগুলোর কিছুই আমেরিকাতে হয় না। আমেরিকা অন্য দেশে গিয়ে যুদ্ধ করে। সকল ক্ষয়ক্ষতি অন্য দেশের হয়।
তৃতীয় কথা – আমেরিকা দেশটির টাকার কমতি হলে যুদ্ধ করে। কথাটি ভালোভাবে বুঝুন – আমেরিকার যখন টাকার অভাব হয়, তখন তারা যুদ্ধ করে টাকা জোগাড় করে। যুদ্ধ হলো তাদের আয়ের পদ্ধতি।
আমেরিকার যুদ্ধ-ব্যয় বিষয়ে চিন্তা করছেন। অথচ তারা যুদ্ধ করে সম্পদ বাড়িয়ে নেয়।আমেরিকা দেশটি সবসময়ই বিভিন্ন দেশের যুদ্ধের ভেতরে জড়িত আছে। মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা কোন সালে যুদ্ধ করেছে, জানেন?
১৯৯১ – কুয়েত দখলের অজুহাতে ইরাকের সাথে
২০০১ – টুইন টাওয়ার ধংশের অজুহাতে আফগানস্থানের সাথে
২০১১ – সিরিয়ার সাথে
২০২১ – রাশিয়া’র সাথে
লক্ষ্য করুন, একেবারে ঠিক দশ বছর পরে যুদ্ধ। যুদ্ধ জিনিসটা হলো অনেক বড় একটি ধবংশজঙ্গ।
সময় মেপে ঝগড়া করে কিভাবে?
এর একটাই উপায় – ইচ্ছা করে, পরিকল্পনা করে যুদ্ধ করে। আর এভাবেই সম্পদ বাড়িয়ে নেয়।
মধ্যপ্রাচ্যে দুই দলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে, আমেরিকা তাদের মধ্যে দ্বন্ধ বাধিয়ে দেয়। তারপর ভালো সেজে, তাদের সন্ত্রাস দমন করতে যায়। এমন সন্ত্রাস দমনের অজুহাতে উভয় পক্ষের সম্পদ লুট করে।
আপনারা আমেরিকার যত যুদ্ধ দেখেন, এগুলো সবই লুটপাট করার কৌশল। আপনি আমেরিকার যুদ্ধ-ব্যয় নিয়ে চিন্তা করছেন?
আসলে, ওরা যুদ্ধ করে আয় করে।