হঠাৎ করেই ফেসবুক থেকে ঐন্দ্রিলা শর্মার অসুস্থতা সংক্রান্ত যাবতীয় পোস্ট ডিলিট করে দিলেন সব্যসাচী চৌধুরী। আর তাতেই সৃষ্টি হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। কেন এমন কাজ করলেন অভিনেতা? সেই প্রশ্নে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।
নভেম্বরে মাসের শুরুতে ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা। হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাকে। অস্ত্রোপচারের পর থেকেই ভেন্টিলেশনে অভিনেত্রী। তার ছায়াসঙ্গী হয়ে রয়েছেন সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত নানা খবর তিনি বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। কখনও নেতিবাচক খবর ছড়ানো বন্ধ করার কথা লিখেছেন। কখনও আবার জানান, যেভাবে নিজের হাতে করে ঐন্দ্রিলাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন, সেভাবেই তাকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন।
শুক্রবারও হৃদরোগে আক্রান্ত ঐন্দ্রিলার দুরন্ত লড়াইয়ের কথা জানিয়েছিলেন সব্যসাচী। সেসব কিছুই এখন আর তার প্রোফাইলে নেই। আছে শুধু ৩১ অক্টোবরের পোস্ট। যাতে অভিনেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। কিন্তু কেন এমন কাজ করলেন সব্যসাচী? তাহলে কি ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনো নতুন আশঙ্কা? নাকি ভুয়ো খবরে বিরক্ত হয়েই সমস্ত তথ্য ডিলিট করে দিলেন অভিনেতা? শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
শুক্রবারের পোস্টে সব্যসাচী লিখেছিলেন, “মানুষের গায়ে আজকাল বড়ই শকুন শকুন গন্ধ পাই। গত দুদিন ধরে হাসপাতালের নিচে বেশ ভিড় জমেছিল, ওর অবস্থার উন্নতি ঘটাতে কাল রাত থেকে একেবারে খাঁ খাঁ করছে।” তারপরে আবার ঐন্দ্রিলার দ্বিতীয়বার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর শোনা গিয়েছিল। যদিও হাসপাতালে জনসংযোগ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, সে খবরটি সঠিক নয়। তাহলে কি তাতেই বিরক্ত হয়ে এই পদক্ষেপ করেছেন সব্যসাচী? কারণ এখনও পর্যন্ত অজানা।
শনিবার পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১০০ শতাংশ ভেন্টিলেশনে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা। তার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইনোট্রোপেস দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও চলছে অ্যান্টিবায়োটিক। ঐন্দ্রিলার শরীরে গ্লাসগো কোমা স্কেলের মাত্রা ৫। এটি সংজ্ঞাহীনতার পরিমাপ। যা সুস্থ ও সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে ১৫ থাকে। তার সুস্থতার প্রার্থনায় কেবল সব্যসাচীই নন, বিনোদন জগতের প্রতিনিধি থেকে সাধারণ মানুষও।